নিজস্ব সংবাদদাতা: বউয়ের ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা করে হাতে নিয়ে সোজা থানায় হাজির হল এক যুবক। আর নিজের কৃতকর্মের গুনগান করতে ভারতমাতা কি জয় আর জাতীয় সঙ্গীতও গাইল সে। এমনই নৃশংস , তাজ্জব ঘটনা দেখলেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ। পারিবারিক বিবাদের জেরে এক মহিলাকে খুন করে তাঁর স্বামী। তারপর তাঁর মুন্ডু কেটে সোজা পৌঁছে যায় থানায়। সেখানে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলেও স্লোগান দেয়। শনিবার নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলার জাহাঙ্গীরবাদ থানায়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের জাহাঙ্গীরবাদ থানার অন্তর্গত বাহাদুরপুর গ্রামে বাস করত অখিলেশ রাওয়াত ও তার স্ত্রী। প্রতিবেশীরা বলেন, মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হত। শনিবার তা চরমে পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর বচসার মাঝেই রাগের মাথায় আচমকা স্ত্রীকে খুন করে অখিলেশ। তারপর তাঁর মুন্ডু কেটে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সোজা জাহাঙ্গীরপুর থানার সামনে গিয়ে পৌঁছায়। হঠাৎ এক যুবক মহিলার কাটামুন্ডু নিয়ে থানার সামনে এসেছে দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা। পরে অখিলেশের হাত থেকে তার স্ত্রীর কাটামুন্ডুটি নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু, তা দিতে রাজি হয়নি ওই যুবক। মুন্ডুটি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে যখন টানাটানি হচ্ছে সেসময় হঠাৎ গলা ছেড়ে জাতীয় সংগীত গাইতে আরম্ভ সে। ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলে স্লোগানও দিতে থাকে। কিছুক্ষণ বাদে অবশ্য তার থেকে স্ত্রীর কাটামুন্ডুটি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন পুলিশকর্মীরা। যুবকটিকে গ্রেপ্তারও করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এপ্রসঙ্গে বারাবাঁকি জেলার পুলিশ সুপার অরবিন্দ চর্তুবেদী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে পারিবারিক বচসার জেরে স্ত্রীকে খুন করেছে ওই যুবক। তারপর তাঁর মুন্ডু কেটে সোজা থানায় চলে আসে। সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও করে। ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।