নিউজ ডেস্ক: করোনার টিকা নেওয়ার পরেই ওয়ার্ড বয়ের মৃত্যুর অভিযোগে বিতর্কের ঝড় উঠল যোগী রাজ্যে। গত ১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা দান কর্মসূচি। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরেই উঠল ওয়ার্ড বয়ের মৃত্যুর অভিযোগ । মৃত ঐ ওয়ার্ড বয়ের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় জেলা হাসপাতালের ওই ওয়ার্ড বয়কে ১৬ তারিখ করোনা টিকা দেওয়ার পর থেকেই তাঁর শরীর খারাপ হতে শুরু করে। মৃত ওয়ার্ড বয়ের নাম মহীপাল সিংহ, বয়স ৪৬ বছর বয়স।
মহীপালের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, ১৬ তারিখ টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গতকাল (রবিবার) মোরাদাবাদ জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেছেন, টিকা দেওয়ার আগে নাকি মহীপালের ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়নি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকালে মহীপাল সিংহের ছেলে বিশাল অভিযোগ করেছেন, তাঁর বাবার মৃত্যু করোনা টিকা দেওয়ার কারণেই ঘটেছে। শনিবার রাত থেকেই তাঁর শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। সকালে জ্বর আসে। যাঁরা টিকা দিচ্ছেন, এ জন্য তিনি তাঁদের দায়ী করেছেন।
মহীপালের আরও এক আত্মীয়েরও একই অভিযোগ। তিনিও বলছেন, করোনা টিকা দেওয়ার কারণেই মহীপালের মৃত্যু হয়েছে। আগে তাঁর শরীর এতটা খারাপ ছিল না কিন্তু টিকা দেওয়ার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। টিকা প্রয়োগের আগে কোনওরকম ডাক্তারি পরীক্ষাই হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
তাঁর মৃত্যুর পর শোকাহত আত্মীয়দের সান্ত্বনা দিতে তাঁদের বাড়ী আসেন মোরাদাবাদের মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক এম সি গর্গ। তিনি জানিয়েছেন, মহীপালের বুকে টানের সমস্যা হচ্ছিল, শ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হয়। এরপরই দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা অবশ্য দাবী করেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সিএমও বলেছেন, শনিবার টিকা দেওয়ার পর মহীপাল পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন, নিজের কাজকর্মও ঠিকঠাক করছিলেন।
প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ১৬ই জানুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় দেশ জুড়ে। সেই মোতাবেক যোগী রাজ্যে মোরাদাবাদ জেলায় ৬টি কেন্দ্র খুলে করোনা টিকা দেওয়া চলছে। করোনা টিকাকরণের প্রথম দিন এখানে ১০০ থেকে ১৫০ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখানে এমন মানুষও টিকা নিতে আসেন, আগে যাঁরা করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন, এখন সেরে উঠেছেন।