নিজস্ব সংবাদদাতা: ৩দিন ধরে আগরতলার একটি হোটেলে ‘আটক’ আই প্যাকের ২৩সদস্যের সঙ্গে দেখাই করতে দেওয়া হলনা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ ৩সদস্যের প্রতিনিধি দলটিকে। বুধবার কলকাতা থেকে রওনা হয়ে আগরতলায় নামেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা। পরিকল্পনা ছিল সেখান থেকেই সরাসরি সেই হোটেলে যাবেন যেখানে রবিবার থেকে কড়া পুলিশি প্রহরায় রয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের তৈরি করা আইপ্যাকের ওই সদস্যরা। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ২বছর আগে থেকেই তৃনমূলের মাটি তৈরি করতে যারা আগরতলায় পৌঁছেছিলেন। কিন্তু জানা গেছে আগরতলা পুলিশের অনুমতি মেলেনি।
এদিকে আগরতলা পুলিশের পক্ষ থেকে তৃনমূলের ওই ভোট কুশলী সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাধ ধারায় পদক্ষেপ করতে নেওয়া হতে পারে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ১ অগস্ট, রবিবার তাঁদের মধ্যে থেকে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে আগরতলা পুলিশ। পুলিশের সামনে হাজিরা না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আগরতলা পুলিশের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত দিনে প্রত্যেককে হাজিরা দিতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁদের। যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। কোনও নথিপত্র থাকলে তা-ও জমা দিতে হবে। হাজিরা না দিলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টেনে আনতে বাধ্য করা হবে সকলকে।
যদিও কী কারণে এই অপরাধ আইনে তদন্ত, তা যদিও চিঠিতে খোলসা করেনি আগরতলা পুলিশ। জানা গেছে আপাততঃ আইপ্যাক কর্মীদের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে তারা।
এর আগে এমনটাই জানিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার যে কোভিড সতর্কতার জন্যই এই পদক্ষেপ। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত বেরোতে পারবেন না তাঁরা। কিন্তু বুধবার সকালে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, আইপ্যাক কর্মীদের সকলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তা সত্ত্বেও তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ওই আইপ্যাক কর্মীদের ছাড়িয়ে আনতে বুধবার সকালেই আগরতলা পৌঁছেছিলেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা। বিমানবন্দর থেকে সোজা ওই হোটেলে চলেও গেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। এরপরই তৃনমূলের পক্ষ থেকে নয়া কৌশল ঠিক করা হচ্ছে বলেই জানা গেছে। এমনিতেই আগামীকাল পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ত্রিপুরায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এখন দেখার যে তিনি এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেন কিনা। তবে ঘটনা যাই হোকনা কেন আগামী রবিবার অবধি এই কর্মীদের যে আগরতলায় থাকতে হচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।