ওয়েব ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। সব সময়ই বহু মানুষের আনাগোনা ওই রাস্তায়। রাস্তার একদিকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অফিস, অন্যদিকে বিধান সভা। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অফিসের সামনেই ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে অবলীলায় গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিলেন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা আমেঠির বাসিন্দা। ওই মহিলার অভিযোগ, প্রতিবেশীর সাথে জমি সংক্রান্ত মামলায় দীর্ঘদিন কেটে গেলেও স্থানীয় পুলিশের কোনও সহযোগীতা মেলেনি। ফলে মাঝে মধ্যেই তাদের প্রতিবেশীর কাছে হেনস্তা হতে হচ্ছে। সেকারণেই তারা দুজনে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। এদিকে এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
জানা গিয়েছে, আমেঠির বাড়িতে মা ও মেয়ে একাই থাকেন। একটা নর্দমা দিয়ে মে মাস থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁদের অশান্তি চলছিল। এদিকে বাড়িতে পুরুষ সদস্য না থাকায় প্রায়শই প্রতিবেশীরা তাদের হুমকি দিচ্ছিল। পুলিশকে বারংবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশের তরফে কোনও সুরাহা করা হয়নি। যার জেরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে এরকম মারাত্মক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন ওই মহিলা।
ঘটনার পর দু’জনকেই উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দু’জনের শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই প্রশাসনের তরফে এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে আমেঠির থানার ইনচার্জকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তাঁর মতে যোগী রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে তৎপর নন। যোগীর গরিব কল্যান প্রকল্প একেবারেই কার্যকরী নয়।