নিজস্ব সংবাদদাতা: এক অভিনেত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তিন বছর ধরে সহবাস এবং গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর তাঁকে গর্ভপাতে বাধ্য করার অভিযুক্ত মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী এবং মিঠুনের স্ত্রী যোগীতাবালি। এই মামলায় ৬মাস আগেই তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক মামলায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সেই মামলা থেকে ছেলে এবং স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্যই বিজেপিতে যোগদান করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী এমনই অভিযোগ উঠল এবার। ৭ই মার্চ কলকাতার ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর সভাতেই বিজেপিতে যোগদান করেন মিঠুন। এমন কী প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ‘বাংলার ছেলে’ বলে প্রশংসাও করেছেন। কিন্তু পরিনত বয়সে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের পেছনে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যে দাবি করেছেন তা রীতিমত চমকে ওঠার মতই।
দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালের ১৯শে অক্টোবর মিঠুন পুত্র মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিরুদ্ধে প্রাতরণা, ধর্ষণ, হুমকি ইত্যাদি মিলিয়ে ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে মুম্বাইয়ের ওসিওয়াড়া
থানায়। এই একই মামলায় মিঠুনের স্ত্রী যোগীতাবালির বিরুদ্ধেও এই মামলায় হুমকি দেওয়া এবং মিটমাট করে নেওয়ার জন্য বল প্রয়োগের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখানে বলে রাখা দরকার যে এর আগেও এই ধরনেরই আরেকটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ২০১৮ সালে। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং প্রাতরণার মামলা দায়ের হয়। দিল্লির একটি থানায় দায়ের হওয়া সেই মামলায় মিঠুন পুত্র আগাম জামিনে রয়েছেন। এই জামিন পাওয়ার পরই ওই ২০১৮ সালের জুলাই মাসে অভিনেত্রী মাদলসা শর্মাকে বিয়ে করেন মহাক্ষয়।
এদিকে গতবছর অক্টোবর মাসে মিঠুন পুত্রের বিরুদ্ধে যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে সেখানে অভিযোগকারিনি বলেছেন যে, ২০১৫ সাল থেকেই মিমোর তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তাঁকে ড্রাগ খাইয়ে শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হতেন মিমো। তাঁকে ধারাবাহিক ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করা হত। এরপরই গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। এবার মহাক্ষয় তাঁকে গর্ভপাত করিয়ে নিতে বলেন। মহিলা রাজি না হওয়ায় ওষুধ প্রয়োগ করে তাঁর গর্ভস্থ শিশুকে মেরে ফেলা হয়।
শুধু তাই নয় বেআইনি নির্মাণ এবং নিয়মকানুন ব্যতিরেকেই মিঠুন চক্রবর্তী একটি রিসর্ট তৈরি করেছেন যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য ব্যাহত করেছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বেআইনি ভাবে নির্মিত ওই রিসর্ট অবিলম্বে ভাঙার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলায় মিঠুনের এই রিসর্ট করা হয়েছে হাতিদের যাতায়াতের রাস্তায় যাকে বলে এলিফ্যান্ট করিডর।
বর্তমানে বন্ধ হয়ে আছে রিসর্টটি। প্রথমে মাদ্রাজ হাইকোর্ট ওই কাঠামো ভেঙে বেলার নির্দেশ দেয় পুলিশকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে মিঠুন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে আদালত একই আদেশ বহাল রাখে। এছাড়াও সারদা মামলায় অভিযুক্ত তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকমই সব বিষয় উঠে এসেছে। সাংসদ মহুয়া মিত্রও এই নিয়ে ফেসবুকে সোচ্চার হয়েছেন।