ভবানী গিরি : রবিবারের পর সোমবার, ফের কৃষি কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ঝাড়গ্রামে আর এবার মৃত্যু হল ৫ জনের। রবিবার গোপীবল্লভপুরের সাতমা অঞ্চলের সংড়ো এবং পায়রাকুলী গ্রামে আমন ধানের বীজতলা তুলতে গিয়ে বজ্রাঘাতে আহত হন ৭ জন, মৃত্যু হয় রুবি নায়েক নামে বছর ৩২ এর এক মহিলার। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সোমবার ফের বাজ পড়ে একই দিনে ২ মহিলা সহ ৫ জনের মৃত্যু হল ঝাড়গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার জমিতে চাষের কাজ করছিলেন পড়িহাটি গ্রামের বছর ৪৫ এর শেখ মুক্তার এবং বাঘঘৌবী গ্রামের বছর ৫০ এর নেপাল মূর্মু। জমিতে কাজ সময় আচমকা বাজ পড়ে। ঘটনায় জামবনি ব্লক এর পড়িহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি গ্রামে পৃথক দুটি ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুজনেরই।
এদিকে এদিনই সাঁকরাইল ব্লকের ধানঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুধিয়ানালা গ্রামে চাষের কাজ করছিলেন ৩ জন মহিলা। সেই সময় হঠাৎ বাজ পড়ে যতন কালিন্দী ( ৫২) এবং সুন্দরী কালিন্দী ( ৪৫) নামক ২ জন মহিলার মৃত্যু হয় এবং গুরুতর জখম হন বছর ২৮ এর শিবানী কালিন্দী। তিনি এই মূহুর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাঙাগড় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
এদিকে গোপীবল্লভপুরের ১ নম্বর ব্লকের মহুলী গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃত ব্যক্তি বছর ৫০ এর ফুদিল মহাপাত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুদিল বাবু সোমবার দুপুরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গরু ঘরে ফিরিয়ে আনতে মাঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন বজ্রঘাতে আহত হয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ফুদিল বাবু।
পরে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ফুদিল মহাপাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বাক্য হারা হয়ে পড়েছেন মৃত ব্যক্তির স্ত্রী সন্ধ্যা মহাপাত্র। স্বামীর এভাবে অকাল মৃত্যুর পর কিভাবে সংসার চালাবেন তাই বুঝে উঠতে পারছেন না৷