নিজস্ব সংবাদ দাতা: ৪ মে থেকে তৃতীয় দফার লক ডাউন শুরু হতে চলেছে তবে আগের দুটি পর্যায়ের চাইতে এই দফার ফারাক হল এবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে সরকার। কেন্দ্রের তরফে করোনা সংক্রমণের ধরণ অনুযায়ী আগেই দেশকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেড জোন ( সংক্রামিত প্রচুর), কনটেনমেন্ট জোন (রেড জোনের মধ্যে হাই রিস্ক এলাকা), অরেঞ্জ জোন (সংক্রমণ তুলনামূলক কম) ও গ্রিন জোন (গত ২১ দিনে কোনও সংক্রামিতের হদিশ নেই)। এবার সেই অরেঞ্জ ও গ্রিনজোনে অর্থনৈতিক কার্যকলাপে ভিন্ন ভিন্ন ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও আরও শক্ত করা হল বজ্র আঁটুনি, কোথাও আবার ছাড় মিলল বেশকিছুটা। তবে গোটা দেশেই বন্ধ থাকছে যে কোনও ধরণের জমায়েত। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও কড়া নজরদারি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রেড জোন ও কনটেনমেন্ট জোনে বাস ট্যাক্সি, অটো, রিক্সা-সহ বিভিন্ন গাড়ি বন্ধ থাকবে।বন্ধ থাকবে আন্তঃরাজ্য পরিবহণ পরিষেবাও।রেডজোনের গ্রামাঞ্চলে শিল্প, নির্মাণ ও চাষের কাজে ছাড় থাকবে। নিয়ম মেনে কর্মীরা আসবেন।মনরেগা প্রকল্পের কাজ চলবে। চলবে ফুড প্রসেসিং ও ইটভাটাও।ছাড় রয়েছে মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায়ও। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি ৩৩ শতাশ কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে কাজ চালাতে পারবে। বাকিদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে।এই এলাকার বাসিন্দাদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। কোনও জোনেই রাত সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত অপ্রয়োজনীয় কাজে রাস্তায় বের হতে পারবেন না।ওষুধের দোকানে ছাড় থাকছে। ই-কর্মাস ডেলিভারি বয়রা শুধুমাত্র অত্যাবশকীয় পণ্য সরাবরাহ করতে পারবে।
অরেঞ্জ জোনে ট্যাক্সি বা ক্যাব চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাতে চালক ছাড়া একজন যাত্রী থাকতে পারে।গ্রিনজোনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে। ৫০ শতাংশ বাসের উপস্থিতিতে ডিপোও চালানো যেতে পারে।এমনকী, গ্রিনজোনে মদ ও পান বিড়ির দোকানেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম মানতে হবে।