নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার কার্যত কানের পাশ দিয়ে খড়গপুর সহ পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলাকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হবে কিনা বলা মুশকিল কারন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা ও দক্ষিনবঙ্গের কয়েকটি জেলা সহ সারা রাজ্যে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। রবিবার থেকে আগামী চারদিন এই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিবেগ হতে পারে ঝড়ের। আগামী ২৪ ঘন্টায় এই প্রভাব শুরু হতে পারে বলে জানাচ্ছে হওয়া অফিস। আর তারই মহড়া বোধহয় হয়ে গেল রবিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ।
কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্র ঝাপট এদিন খেলে গিয়েছে বেলদা, নারায়নগড়, খড়গপুর,কেশিয়াড়ী, মেদিনীপুরে অন্যদিকে একই জিনিস লক্ষ্য করা গেছে গোপীব্ল্লভপুর, তপসিয়া, বেলিয়াবাড়া, লোধাশুলি, সহ ঝাড়গ্রাম জেলার বেশ কয়েকটি অংশে। ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ক্ষণস্থায়ী হলেও কাঁপন ধরিয়েছে সর্বত্রই। ঝড় কেটে যাওয়ার পর বৃষ্টিও হয়েছে খানিক। মোটের ওপর বাড়াবাড়ি না হলেও একেবারেই যে রক্ষা পাওয়া গেছে তা নয়, আগামী ৭২ ঘন্টা আরও সম্ভবনা থেকেই যাচ্ছে।
একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর সহ উত্তরের একাধিক জেলাতে এর প্রভাব পড়বে। অন্য জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলাতে আগামী ২৪ ঘন্টায় ঝড় হতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
যদিও আজ রবিবার সকাল থেকেই বাড়ছে খড়্গপুরের শহরের তাপমাত্রা। দুপুরের পর থেকেই তীব্র অসহনীয় জ্বালা ভাব অনুভব হতে থাকে শরীরে। শনিবারের তুললায় তাপমাত্রা সকালেই খড়গপুর শহরের ২৮ছুঁই ছুঁই। রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ডিগ্রি। যা ৪ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮২ ও সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ। স্বাভাবিক অবস্থাতেই বাতাস বয়ে গেছে ১৩কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।