Homeএখন খবর"আমরা ধ্বংসের পথে হাঁটছি", অর্ণব গোস্বামী-র অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে হস্তক্ষেপ সুপ্রিমকোর্টের

“আমরা ধ্বংসের পথে হাঁটছি”, অর্ণব গোস্বামী-র অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে হস্তক্ষেপ সুপ্রিমকোর্টের

ওয়েব ডেস্ক : আর্কিটেক্ট অন্বয় নায়েকের মৃত্যুতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চলতিমাসেই গ্রেফতার করা হয়েছে রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী-কে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই অর্ণবের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন খারিজ করেছে বম্বে হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন অর্ণব। এবার অর্ণব গোস্বামীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মামলায় বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে মহারাষ্ট্র সরকার। এদিন সর্বোচ্চ আদালতের তরফে রিপাললিক টিভির এডিটর-ইন-চিফের বিরুদ্ধে কোন যুক্তির বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

বুধবার এই মামলার শুনানিতে অর্ণব গোস্বামীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী হরিশ সালভে এবং মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। এদিন আইনজীবী হরিশ সালভে নিজের দাবির সপক্ষে সওয়াল করে বলেন, এই মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। এরপরই মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বলের সওয়াল শুরু করলে, তাঁর সওয়ালের মধ্যেই বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তুলে বলেন, “৩০৬ ধারার অন্তর্গত প্ররোচনার জন্য তাতে (আত্মহত্যার ক্ষেত্রে) প্রকৃত প্ররোচনার থাকতে হয়। কেউ অন্যজনের থেকে টাকা পাবেন এবং তাঁরা আত্মহত্যা করলেন, তাহলে সেটা কি (আত্মহত্যায়) প্ররোচনা হবে?”

তবে শুধুমাত্র বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নয়, একইসাথে এদিন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশ্ন তুলে বলেন, “আমরা ধরে নিচ্ছি যে এফআইআরে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ধ্রুব সত্য। তারপরও এটায় কি ৩০৬ ধারার মামলা করা যায়? এরকম বিষয়ে যেখানে কিছুটা অর্থ মেটানো হয়নি। তার ফলে আত্মহত্যা করেছেন। তার মানে কি প্ররোচনা দেওয়া? সেজন্য যদি কাউকে জামিন না দেওয়া হয়, তাহলে সেটা কি বিচারের নামে প্রহসন নয়?”

পাশাপাশি এদিন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “উপযুক্ত এবং ন্যায্য তদন্তের অধিকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। কিন্তু উত্তরটা সোজা। আপনারা যদি কোনও চ্যানেল পছন্দ না করেন, তাহলে দেখবেন না।” একই সাথে এদিন বিচারপতি আরও বলেন, “আমরা আজ যদি এই মামলায় হস্তক্ষেপ না করি, তাহলে আমরা ধ্বংসের পথে হাঁটব। যদি আমরা উপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি চ্যানেলটি দেখব না। মতাদর্শের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু সাংবিধানিক আদালতে সেই স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। নাহলে আমরা ধ্বংসের পথে হাঁটছি।”

RELATED ARTICLES

Most Popular