নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টায় আবার রেকর্ড সংক্রমণ দেশ জুড়ে। একদিনে আক্রান্ত প্রায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার, মৃত ১ হাজার ৩৪১ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পেশ করা বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে দেশ জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৭১ হাজার ২২০ জন। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪০ জন। মোট মৃত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৪৯ জন। ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬৪১ জনকে।
চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল- মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ছত্তিশগড়, কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থান-এই ১২টি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এমতাবস্থায় দেশের ১১ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কেন্দ্রের কপালেও চিন্তার ভাঁজ। এই পরিস্থিতিতে বিশাল জমায়েতে রাশ টানতে চাইছে সরকার। বিভিন্ন রাজ্য নানান সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
করোনার চোখ রাঙানিতে একের পর এক রাজ্যে জার করা হয়েছে কার্ফু ও লকডাউন। মহারাষ্ট্রে ১৫ দিনের কার্ফু জারি হয়েছে। যোগী রাজ্যেও করোনা সংক্রমণের জেরে রবিবার লকডাউন ঘোষণা করা হল। পাশাপাশি মাস্ক না পড়লে ১০ হাজার টাকা জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে যোগী সরকার। বৃহস্পতিবার উপরাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল উইকেন্ড কার্ফুর সিদ্ধান্ত নেন। এদিন বৈঠক শেষে কেজরিওয়াল জানান, দিল্লীতে কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘সপ্তাহের শেষে মানুষ শপিং মল, বাজার, সিনেমা হলে ভিড় জমায়। তাই ওই দিনগুলোতে কার্ফু জারি করা হল। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। জিম, স্পা এবং অডিটোরিয়াম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিনেমা হলগুলি কেবল ৩০ শতাংশ দর্শক নিয়ে চালাতে হবে। কেবলমাত্র হোম ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, রেস্তোঁরাতে বসে খাওয়া যাবে না।‘
অন্যদিকে একই পথে হেঁটেছে গেহলেট সরকারও। ১৬ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল সোমবার পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরের দিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু লাগু জারি করা হল রাজস্থানে; আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি এভাবেই চলবে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ”রাজ্যের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চারদিন নাইট কার্ফু জারি থাকবে।” এই নাইট কার্ফু চলাকালীন কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। কোনওভাবে যাতে জনসমাগম না হয় সেজন্য সব ধরনের জনসংযোগ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।