Homeদক্ষিণবঙ্গউত্তর ২৪পরগনাস্বামীকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে,অনুমতি না মেলায় বৈঠকেই গেলেননা নুসরত

স্বামীকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে,অনুমতি না মেলায় বৈঠকেই গেলেননা নুসরত

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে স্বামী নিখিল জৈনকে নিয়েই যাবেন এমন আবদার এসপিজি কমান্ডো রা মানায় বৈঠকেই গেলেন না বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। রীতিমত বচসা করেই বেরিয়ে এলেন তিনি। শুক্রবার এই নজিরবিহীন ঘটনায় হতবাক বসিরহাট। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও মূখ্যমন্ত্রী জেলার শীর্ষ স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করছেন সেখানে বিধ্বস্ত উত্তর ২৪পরগনার অন্যতম জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর থাকা উচিৎ ছিল। এখানে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বহন করা চলেনা বলেই মত অভিজ্ঞ মহলের।

বিজেপির রাজ্য নেতা রাজু ব্যানার্জী তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, “বিপর্যয়ের ২৪ঘন্টা পেরিয়েও বসিরহাটের মানুষ তাঁদের পাশে সাংসদকে পাননি। যেই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন অমনি ছুটলেন একেবারে স্বামীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে । ওটা কী নাটক করার জায়গা না সিনেমার শ্যুটিং? উনি একজন সাংসদ হিসাবে জানেননা যে প্রধানমন্ত্রী এমনকি মুখ্যমন্ত্রীরও প্রশাসনিক বৈঠকে আত্মীয় বন্ধু বান্ধব নিয়ে যাওয়া যায়না?”

উল্লেখ্য বাংলার বিপর্যস্ত অবস্থা পরিদর্শন করতে শুক্রবার রাজ্যে আসেন মোদী। এদিন হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে দুই ২৪ পরগনার বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।  সঙ্গে ছিলেন আরও চার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। এরপরে বসির‌হাট কলেজে বৈঠক করেন।ঘূর্ণিঝড় আমফানে দারুণ ক্ষতিগ্রস্থ বসিরহাট। এখনও পর্যন্ত সেখানে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বসিরহাট কলেজ লাগোয়া পিছনের মাঠে তৈরি অস্থায়ী একটি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাজির হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরি-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে বাবুল বা দেবশ্রী যেমন ছিলেন তেমনই এলাকার সাংসদ হিসাবে বৈঠকে থাকার জন্য রাজ্যের পক্ষে নুসরতকেও বলা হয়। এরপর বসিরহাট কলেজে বৈঠক শুরুর আগেই স্বামী নিখিল জৈন এবং দুই আপ্তসহায়ককে নিয়ে কলেজে যান সাংসদ নুসরতও।

কলেজে ঢোকার মুখে নুসরতকে বাধা দেয় এসপিজি। এরপর তিনি নিজের সাংসদ পরিচয় দেওয়ার পর প্রবেশের অনুমতি পান বলে জানা যায়। তাঁর সঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন নিখিলও। কিন্তু নুসরতের স্বামী ও দুই আপ্তসহায়ককে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এসপিজির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাংসদকে একাই ঢুকতে হবে বৈঠকে। তাঁর সঙ্গে কেউ ভিতরে যেতে পারবেন না। সেকথা শুনে রেগে গিয়ে বচসায় জড়ান নুসরত। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। নিখিল জৈন ভিতরে ঢুকতে না পারায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ।

RELATED ARTICLES

Most Popular