নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর সেই গ্রামে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে যে গ্রামের বুথে প্রথম দফা নির্বাচনের দিন হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষকে। সোমবার সন্ধ্যা বেলায় এই হামলার ঘটনায় ২মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এক যুবতীর বুকে রক্তাক্ত আক্রমন হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শালবনী বিধানসভা কেন্দ্রের আঁধারনয়ন বুথ এলাকায়। এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ী ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। আহত দুই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়েছিলেন যুবতী সহ ওই মহিলা। সেই অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে দ্বারিগেড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটাতে তাঁদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
স্থানীয় সিপিএম সমর্থকরা জানান, এদিন সন্ধ্যাবেলায় গ্রামের বাইরে একটা চকে পুরুষের দল যখন চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল তখনই গ্রামের মধ্যে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। বেছে বেছে হামলা চালানো হয় বাম সমর্থককে বাড়িতেই। বাধা দিতে এগিয়ে আসেন মহিলারা। সেই সময় ২৮ বছরে এক যুবতীকে ঘিরে ধরে দুস্কৃতির দল। তাকে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তার জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। ওই সময় তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয় এক ৪০ বছরের গৃহবধূকে। ওই গৃহবধূকেও শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ।
ওই গ্রামের সিপিএম সমর্থকরা অভিযোগ নির্বাচনের দিন ওই বুথ লুট করতে দেয়নি তাঁরা। বিকাল ৪টা অবধি দল বেঁধে গ্রামবাসীরা নিজেদের সমস্ত ভোট দিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুস্কৃতিরা। চিৎকার চেঁচামেচিতে চক থেকে ছুটে আসে পুরুষেরা। তখনই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
উল্লেখ্য প্রথম দফা নির্বাচনে এই বুথেই ভোট লুটের চেষ্টা করার অভিযোগ করে ঘটনা স্থলে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল সিপিএম নেতা তথা প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ। আর সেই অভিযোগ করা হয়েছিল তৃনমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ সেদিন ভোট লুট না করতে পেরেই দুদিন পরে প্রতিহিংসা নিতে এসেছিল সেই লুটেরার দলই। ঘটনার পেছনে শাসকদলেরই দুষ্কৃতিরাই ছিল। যদিও তৃনমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।