নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর সিআরপিএফ সদর দপ্তরে এক মহিলা এবং এক পুরুষ জওয়ানের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। বাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ওই দুই জওয়ান নিজেদের সার্ভিস রিভালভার থেকে নিজেদেরকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী সূত্রে জানা গেছে নিহত দুই জওয়ানের নাম রাজীব কুমার ও রাবারি সেজালবেন কাঞ্জিভাই। রাজীবের বয়স ৩৬ বছর, তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। রাবড়ীর বয়স ২৬ বছর, তিনি গুজরাটের বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল যদিও রাজীব এবং রাবড়ী দুজনেই আগেই বিবাহিত বলে জানা গেছে।
শালবনীতে অবস্থিত সিআরপিএফের এই ২৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের অস্ত্রাগার সংলগ্ন এলাকায় মৃতদেহ দুটি উদ্ধার হয়েছে। এই অস্ত্রাগারের দায়িত্বেই ছিলেন নিহত রাজীব কুমার। জানা যাচ্ছে গতকাল রাতে নাইট ডিউটি ছিল মহিলা কনস্টেবল র্যাঙ্কের রাবড়ীর। কিন্তু ডিউটি শুরু হয়ে যাওয়ার পরও সে আসেনি। এরপরই তাঁর খোঁজে বেরিয়ে পড়েন সহকর্মীরা। খুঁজতে খুঁজতে অস্ত্রাগারের সামনেই তাঁর রক্তে ভেসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। পাশেই পড়েছিল রাজীবের দেহ।
হেড কনস্টেবল বা অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা রাজীব কুমারের বাড়ি ঝাকাহিচক গ্রামে যা কিনা উত্তর প্রদেশের কবিরাগঞ্জ জেলার মাহাউলি থানার অন্তর্গত। অন্যদিকে রাবড়ী সেজালবেন কাঞ্জিভাই যিনি কনস্টেবল তাঁর বাড়ি গুজরাটের
গান্ধিনগর জেলার কালোল থানার কারোলি গ্রামে। রাজীব গত ১৮ বছর ধরে চাকরি করলেও রাবড়ী বছর গত ৬ বছর ৫ মাস আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
জানা গেছে এঁরা দুজনেই আলাদা আলাদা ভাবে বিবাহিত। দুজনেই সম্প্রতি ছুটি কাটিয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে ছুটি কাটানো কালীন সময়ে দুজনের মধ্যে কিছু বিষয়ে দূরত্ব কিংবা মানসিক সমস্যা তৈরি হয় যাকে কেন্দ্র করেই গতকাল রাতের এই ঘটনা ঘটে। তবে দুজনেই নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে আত্মহত্যা করেছেন নাকি একজনকে গুলি করে অন্যজন আত্মহত্যা করেছেন তা তদন্ত স্বাপেক্ষ। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।