ওয়েব ডেস্ক: কখনও হুমকি কখনও মারধর শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়৷ আরও একবার এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলো হাবরাবাসী। ভাইপোর সাথে প্রেমের অপরাধে কিশোরীকে হুমকি দেন শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য কাকা। অপমানে আত্মঘাতী হয় কিশোরী৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাবরা থানা এলাকার পৃথিবায়। মৃতা কিশোরী বছর ২০র প্রীতি ঘোষ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল।
প্রীতির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হাবরা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল প্রীতি ঘোষ। একবছর আগে ওই কলেজেরই এক ছাত্র অতনু দাসের সাথে প্রীতির পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত কয়েকদিন আগেই বিষয়টি পরিবারের কাছে জানাজানি হয়ে যায়। এরপর থেকেই অতনুর পরিবারের তরফে বারংবার হুমকি দেওয়া হয়। প্রীতিকে সম্পর্ক থেকে সরে যেতে বলেন অতুনর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু প্রীতি সে কথা শোনে নি।
এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মাঝ রাস্তায় প্রীতির সাথে দেখা হয় অতনুর কাকা অনুপ দাসের। তিনি স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তাঁর একটা আধিপত্য আছে। এদিন প্রীতির সাথে দেখা হতেই অতনুর কাকা অনুপ দাস প্রীতিকে সম্পর্ক থেকে সরে না গেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরেই সমস্ত ঘটনা মাকে জানান প্রীতি। এরপর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে অপমানে নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হন তিনি। সকালে অনেক্ষণ ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রীতির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করতে গেলে অনুপ দাসের গ্রেফতারের দাবিতে প্রীতির মৃতদেহ আগলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
স্থানীয়দের দাবি, অতনুর কাকা অনুপ দাসের হুমকির জেরেই আত্মহত্যা করেছেন প্রীতি। শাসকদলের পঞ্চায়ত সদস্যের এমন ঔদ্ধত্যে স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।