ওয়েব ডেস্ক : কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই যেসকল ট্রেনগুলি চলছে তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কখনও ট্রেনের মধ্যে শ্রমিকদের জল-খাবার না দেওয়ার অভিযোগ, কখনও বা গন্তব্য স্টেশনে ট্রেন না দাঁড়িয়ে গন্তব্য নয় এমন জায়গাতেও ট্রেন দাঁড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ। সব মিলিয়ে শুরু থেকেই রেলের এই খামখেয়ালী তে নাজেহাল মানুষজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যাত্রী যে স্টেশনে নামবেন সেখানে না দাঁড়িয়ে তার থেকে বহু দুরে গিয়ে ট্রেন দাঁড়াচ্ছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেন না থামায় চলন্ত ট্রেন থেকেই লাফ দিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকের দল। শুক্রবার ফের এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাংলারই কিছু ছাত্রছাত্রী।
দক্ষিণ ভারতের গোদাবরী জেলা থেকে ফিরছিলেন বাংলার ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী। তারা দক্ষিণ ভারতের একটি নার্সিং কলেজে পড়াশোনা করে। এদের প্রত্যেকের বাড়ি দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়ায়। কিন্তু ট্রেনটি নির্দিষ্ট স্টেশনে না থেমে শালবনী রেল স্টেশনে এসে থামে। ফলে রেলের খামখেয়ালীর জন্য বাধ্য হয়ে তাদের শালবনীতেই নামতে হয়। কিন্তু স্টেশনে নেমে তার কিভাবে বাড়ি ফিরবে বুঝতে না পেরে অসহায়ভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। জানা গেছে ট্রেনটি খড়গপুর স্টেশনে দাঁড়ানোর কথা ছিল কিন্তু তা এড়িয়ে চলে যায়।
সেই সময় তারা শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের একটি হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে তাদের অসুবিধার কথা জানায়। তাদের অসুবিধার কথা শুনে শালবনীর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নেপাল সিংহ ও শালবনী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তৃণমুল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাঞ্চন ডাঙ্গর, দীনেশ জানা ও শুভেন্দু ধল ছাত্রছাত্রীদের জন্য জল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের উদ্যোগে তারা নিজের নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
সন্দীপ বাবু যোগাযোগ করেন ব্লক তৃনমুল সভাপতি নেপাল সিংহ ও শালবনী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে, ফল ও হয় সঙ্গে সঙ্গেই। পুলিশের উদ্যোগে সরকারি বাস ছাত্র ছাত্রীদেড় নিজেদের নিয়ে গন্তব্যে যায়, ততক্ষণে ব্লক তৃনমুল যুব কংগ্রেসের কাঞ্চন ডাঙ্গর, দীনেশ জানা ও শুভেন্দু ধল ওদের জন্য জল ও শুকনো খাবারের ব্যাবস্থাও করে দিয়েছে। রেলসূত্রে অবশ্য জানা গেছে খড়গপুরে নয় ট্রেন দাঁড়িয়েছিল খড়গপুরেরই প্রান্তিক স্টেশন হিজলীতে। দক্ষিন ভারতের ট্রেনগুলি সাধারনত তাই করে থাকে। সেক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকতে পারে পড়ুয়াদের। তারা খড়গপুরে গাড়ি দাঁড়াবে বলেই হয়ত নামেননি।