আলিঙ্গন |
নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রায় ১০০কোটি টাকা খরচ হয়েছে ট্রাম্প বন্দনায়। ৭০কোটি খরচ হয়েছে বস্তি ঢাকাতে, রাস্তা বানাতে আর স্টেডিয়াম সাজাতে। কেন্দ্রের গুড় খেয়েছে মোদি আর শাহর রাজ্য গুজরাট। আগ্রা শহরে যমুনার দুর্গন্ধ ঢাকতে জল ছাড়া হয়েছে। বিলাস বহুল হোটেল খেয়েছে কয়েক কোটি। কিন্তু আমেরিকার পাকিস্তান প্রীতি তাতে এক ছটাক কমেনি। বরং মোদির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি কমিয়ে দিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে, এবারে মধ্যস্থতার জন্য শর্ত আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতার প্রস্তাব যে ভারতের অস্বস্তি বাড়াল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, শুরু থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় কোনও শক্তির হস্তক্ষেপের বিরোধী ভারত।
ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে কথা হয়েছে ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বৈঠকের পরই সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যুতে নিজে থেকে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছেন ট্রাম্প। গতবছর ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানের আগেও একইভাবে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যতবারই ট্রাম্প এই প্রস্তাব দিয়েছেন, ততবারই নয়াদিল্লি তা খারিজ করছে।
এই ইস্যুতে নয়াদিল্লি আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা নিয়ে মধ্যস্থতার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যদি আলোচনা করতেই হয়, তাহলে আলোচনা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দিল্লির এই স্পস্ট বার্তার পরও ট্রাম্প যে নিরস্ত হলেন না, তা তাঁর মঙ্গলবারের বার্তায় স্পষ্ট। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন, “আমরা এটা (ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক) নিয়ে আমরা অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। আমি বলে দিয়েছি, এ বিষয়ে আমার পক্ষে যা করা সম্ভব আমি করব। কারণ, আমার সঙ্গে দুই ভদ্রলোকেরই (নরেন্দ্র মোদি এবং ইমরান খান) সম্পর্ক খুব ভাল। তাই আমি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবং মধ্যস্থতা করতে সবরকম সাহায্য করব।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এদিন আরও একবার ঘোষণা করেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ খুব ভাল। ওঁরা এখন সন্ত্রাসবাদ রুখতে কাজ করছে। যদি মধ্যস্থতার প্রয়োজন পড়ে। তাহলে তা করার চেষ্টা করব।’ বলা বাহুল্য নিজের ঘরে ডেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মার্কিন সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা মাঠেই মারা গেল শুধু নয়, কূটনৈতিক ভাবে চুড়ান্ত ব্যর্থ হলেন মোদি।