ছুটছে স্নিফার ডগ , সংগে জনতাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা: পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়েও জনতার মন জয় করা গেলনা। আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মৃতদেহ ছাড়তে নারাজ মানুষ। তাঁদের দাবি উপস্থিত পুলিশ পদাধিকারীকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে কয়েকদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে ব্যবসায়ীর খুনিকে। যদিও পুলিশ মনে করছে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ছাড়া এটা খুনের ঘটনা কিনা বলা অসম্ভব। জনতার পাল্টা দাবি তাহলে ঘটনাস্থলে না এসেই নারায়নগড় পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা কেন বলেছিল ?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে বেলা ১১টা নাগাদ জনতার দাবি মেনেই পুলিশ কুকুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নারায়নগড়ের বাঘুই খালের সেই পলাশ গাছের তলায়। সাত সকালে যেখানে সেই গাছ থেকে ঝুলে পড়া অবস্থায় পারুলদার তরুন ব্যবসায়ী গৌতম ওরফে সুদর্শন দের দেহ মিলেছিল। তীব্র গন অসন্তোষ ঠেকাতেই পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর বা স্নিফার ডগ নিয়ে যেতে বাধ্য হয় !
মৃতদেহের গন্ধ শুঁকছে কুকুর |
স্নিফার ডগটি প্রথমে পড়ে থাকা মৃতদেহের গন্ধ শুঁকে তারপর ছুটে যায় নন্দকিশোরপুরের দিকে সেখানে একটি পুলের কাছ অবধি গিয়ে ফিরে আসে আবার মৃতদেহের কাছে।ফের তা যায় চৌরঙ্গীর দিকে যেদিকে নারায়নগড় হাট। যে হাটে যাওয়ার কথা ছিল মৃত গৌতমের। ডগ স্কোয়াডের পুলিশের সাথে ছোটে জনতাও। তবে জনতা সন্তুষ্ট নয় কুকুরের ভূমিকায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জনতা এবার দাবি করতে থাকে উপস্থিত খড়গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারীককে কথা দিতে হবে যে একটি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে খুনি বা খুনিদের। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস এটা খুনই। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন স্থানীয় শাসকদলের নেতারাও। জনতার সাথে তাঁদেরও ইচ্ছা পুলিশ কথা দিক। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষে ময়নাতদন্ত ছাড়া এটা বলা অসম্ভব যে এটা খুনই কিনা। মৃত্যুদেহ উদ্ধার করতে পুলিশ সব রকম চেষ্টা করলেও জনতা দেহ ছাড়তে নারাজ। ফলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঘটনাস্থলে। দাঙ্গা দমন বাহিনী সমেত বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায়। যে কোনও মুহুর্তে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে এমন অবস্থার উদ্ভব হয়েছে।