Homeসঙ্গে রুকস্যকচাঁদের খোঁজে চাঁদপুর

চাঁদের খোঁজে চাঁদপুর

চাঁদের খোঁজে চাঁদপুর
পার্থ দে

সময়টা বসন্তকাল। হলে কী হবে, দিনের বেলাতেও বেশ গরম। এইসময় মনটা সমুদ্রের দিকে খুব টানছিল। হাতের কাছে দীঘা ছাড়া আর আছে কী? বন্ধু বলল– দীঘা নয়। অন্য কোথাও, অন্য কোনো খানে। যেখানে সমুদ্র থাকবে, সৈকত থাকবে নিরিবিলি। সমুদ্র দেখা যাবে হোটেলের ঘর থেকেই। সারাদিন সমুদ্রের সাথে সময় কাটাব। আর, কোন সাইট সিইং করব না। জার্নিও হবে একটু অন্য রকম অনুভূতির। নাইট সার্ভিস বাসে চড়ব।
যেমন পরামর্শ, তেমন সিদ্ধান্ত। বন্ধু স্পট সিলেকশন করে হোটেলও বুক করল। তারপর একটা ছুটির দিন দেখে দুগ্গা দুগ্গা বলে ধর্মতলা থেকে বাসে চেপে বসলাম। রাত ১১.৩০টা, দীঘাগামী বাস। গন্তব্য পূর্ব মেদিনীপুরের চাঁদপুর বীচ।

বাসের সব সিট ভর্তি হয়নি। তবে বাস ছাড়ল সময়মতোই। দ্বিতীয় হুগলী সেতু পেরিয়ে সাঁতরাগাছি হয়ে হাইওয়েতে এসে পড়লাম। ঠান্ডা হাওয়া লাগছিল, জানালার কাঁচ বন্ধ করতে হল। সবাই তখন ঘুমের দেশে। আমি শুধু জেগে, কল্পনার জগতে। পক্ষীরাজের লাগাম ধরে আমি তখন বীরপুরুষ। ঝড়ের বেগে ছুটছে ঘোড়া, গ্রাম শহর মাঠ নদী পেরিয়ে। ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে কখন ঘুম নেমে এসেছে দুচোখে।
ঘুম ভাঙল বন্ধুর ডাকে। দেখি, কোলাঘাটের একটা ধাবাতে বাস দাঁড়িয়েছে। ডিনার করেই বাসে উঠেছিলাম।তাই শুধু এক কাপ গরম কফিতে চুমুক দিলাম। বাস আবার ছাড়ল। বাকি রাস্তাটুকু খুব একটা ঘুম হল না।

বাস যখন আমাদেরকে বালিসাই স্টপেজে নামিয়ে দিয়ে গেল, তখন ভোর ৩.৩০ মতন. নাগাদ বাসটা দীঘা চলে গেল। কয়েকটা সারমেয় শুয়ে আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বাইরের লোক দেখেও টুঁ শব্দটি করল না। বুঝলাম, এরা ভোররাতে বাইরের লোকজন দেখতে অভ্যস্ত। স্টপেজের কাছেই চায়ের দোকান একটা সবে খুলেছে। এক কাপ চায়ে গলা ভিজিয়ে নিলাম। একটা টোটো ভাড়া করা হল। বাস রাস্তা ছেড়ে আলোকিত সরু পিচের রাস্তায় টোটোয় চড়ে চলেছি আমাদের গন্তব্যে। হাজার তারা আর চাঁদের আলোয় ভরা আকাশ। রাস্তার দুধারে মাছের ভেড়ী। সারি সারি লাইট জ্বলছে। মিনিট পনের যাওয়ার পরেই, সমুদ্রের গর্জন ভেসে এল। একটা মোড়ে পৌঁছালাম। উঁচু বাতিস্তম্ভের আলোয় আলোকিত চারদিক। বেশ কিছু দোকানপাট, কিন্তু তখন বন্ধ। টোটো চালক বলল– “এটা জলধা বীচ। এখান থেকেই মেরিন ড্রাইভ রোড শুরু।” মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে এক কিমি মত গিয়ে একটা হোটেলের সামনে টোটো থামল। সমুদ্রের একদম পাশেই হোটেল। রাতের আলোকসজ্জায় খুব মায়াবী লাগছিল হোটেলটাকে।

কলিং বেল বাজাতে হোটেলের এক কর্মী এসে হাজির। দরজা খুলে, আমাদের বুক করা নির্ধারিত ঘরটিতে পৌঁছে দিয়ে গেল। সেই সঙ্গে দুটি মিনারেল ওয়াটারের বোতল। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘর, এটাচড বাথরুম। বিছানায় সফেদ চাদর ও বালিশ। একটু ফ্রেশ হয়ে হোটেলের ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালাম। সামুদ্রিক ঝড়ো বাতাসে শরীরের সমস্ত ক্লান্তি, ঘুম, তৃষ্ণা এক নিমেষে কোথায় উধাও । এক স্মরণীয় ভোরের অপেক্ষা। ধীরে ধীরে আঁধার কেটে দিনের আলো ফুটতে শুরু করল।
পূর্ব দিগন্তে রক্তিম আভা দেখতে পেয়েই, ছাদে উঠে ক্যামেরা বাগিয়ে দাঁড়ালাম। হোটেলের ছাদটা অনেকটা সানরাইজ পয়েন্টের মতো। কিছুক্ষণ পরে মেঘের পর্দা সরিয়ে সূর্য দেব উদয় হলেন। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে সূর্যোদয়ের ছবি ক্যামেরাবন্দী করলাম। তারপর হোটেল থেকে বেরিয়ে, মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে হাঁটতে থাকলাম। প্রাতঃভ্রমণের আদর্শ যায়গা। অনেকেই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছেন দেখলাম। সমুদ্রের ঢেউয়ের সাদা ফেনার ওপর সূর্যের আলো এসে পড়েছে। অসাধারণ এক বর্ণচ্ছটার সৃষ্টি হয়েছে তাতে। দামাল সমুদ্র সগর্জনে আছড়ে পড়ছে রাস্তার ধারে বোল্ডারের বাঁধে।

হোটেলে ফিরতেই যিনি এগিয়ে এসে হাসিমুখে আমাদের অভ্যর্থনা জানালেন, তিনি অনুপবাবু, হোটেলের মালিক। কর্মী সৌমেন আমাদের জন্য চা-বিস্কুট নিয়ে এল। আহা, খাশা বানিয়েছে চা খানা। চা খেতে খেতে অনুপবাবুর সঙ্গে গল্প করছিলাম। আশেপাশে কী কী দেখার আছে, কোথায় কোথায় যাওয়া যায়, সেটাও কথায় কথায় জেনে নিলাম। মায়ের নামে হোটেলের নাম রেখেছেন “আল্পনা”। উপর নিচে তিনটি করে মোট ছ’টা রুম। পরে একটা ডরমিটরি নতুন হয়েছে। রান্নাঘর ও ডাইনিং রুম পেছনের দিকে। দোতলা থেকেই সমুদ্রের অসাধারন ভিউ পাওয়া যায়। দোতলাটাই এই হোটেলের ইউএসপি। খবরের কাগজ হাতে নিয়ে দোতলার ব্যালকনীতে চেয়ারে এসে বসলাম। কিন্ত অশান্ত সমুদ্র ফেলে, খবরের কাগজে মন সংযোগ করা এখানে বেশ কষ্টকর। সামনে সারি দিয়ে নারকেল গাছ। তারপর লাগোয়া পিচ রাস্তার নীচেই সীমাহীন বঙ্গোপসাগর। সে যেন আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। দোতলার ব্যালকনিতে বসে বসে সাগরের ঢেউ গোণা, দমকা ঝড়ো বাতাসে চুল এলোমেলো করে দেওয়া, পকোড়ার সাথে গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে অতীতের দিনগুলিতে ফিরে যাওয়া, পাশে যদি থাকে প্রিয় মানুষটি, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। উপরি পাওনা ছাদ (যেন ওয়াচ টাওয়ার) থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সৌমেন আমাদের ব্রেক ফাস্ট নিয়ে এল। লুচি, আলুর দম আর ডিমের ওমলেট। গোগ্রাসে সব পেটে চালান করে দিলাম।

“ঢেউগুলো যেন দূর দর থেকে উড়ে আসা একরাশ শিমূল তুলো,
আমি এক ধুনুরির ধনুক যেন, বুনে যাই নকশী কাঁথার বালুচর।
এখানে সব কিছু থেমে গেছে আজ, আছে শুধু সুরের এই লোনা লহরী,
এই সেই স্বপ্নের বালুকাবেলা, অরফিয়াসের সেই সুর নগরী”।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র দূরে সরে যেতে লাগল। জেগে উঠতে লাগল চাঁদপুর সৈকত, তার নিজস্ব মহিমা নিয়ে। বাঁধের গায়ে কাঠের ব্যারিকেড দেওয়া। ফাঁক গলে বালুচরে এসে নামলাম। তারপর আর পায় কে আমাকে ! এক ছুটে ঝঁপিয়ে পড়লাম সাগরের বুকে। বেশ কিছুক্ষণ দাপাদাপির পর বালুচরে এসে বসলাম। সাগর জলে যুবক যুবতীদের কানামাছি আর ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা । হরষিত চিত্তে পূলকিত বদনে বক্র হাসির সেলফি। রোদে চিকচিক করে বালুচর। সৈকতে ধুয়ে যায় কত পদ চিহ্ন। যেন সময়ের ধারায় মিলিয়ে যায় কত আঘাতের কত ক্ষতের দাগ!

সমুদ্র-বিলাস সাঙ্গ করে হোটেলে ফিরে বাথরুমে ভালো করে স্নান। নিচের ডাইনিং রুমে গেলাম যখন, হোটেলের অন্যান্য বোর্ডাররা তখন খাচ্ছেন। মনে হল, আমরাই দেরীতে এলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যেই গরমাগরম খাবার এসে গেল। মেনুতে ছিল ভাত, আলুভাজা, মুগের ডাল, শুক্তো, চিংড়ী মাছের মালাইকারী, আমের চাটনি, পাঁপড়, টকদই, স্যালাড। মালিক হলেও, অনুপবাবু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবার খাওয়া দাওয়া তদারকি করছেন। এটাই নাকি তাঁর রেওয়াজ। এদের রান্নাও সত্যিই অসাধারণ। চেটেপুটে খেলাম। অনুপবাবু বললেন– বর্ষার সময়ে আসবেন। আপনাদের পমফ্রেট, ভেটকি, পার্শে, পাবদা, তোপসে, ইলিশ সহ আরো নানারকম মাছ খাওয়াতে পারব।

বিকেলের গন্তব্য তাজপুর সৈকত। সুসজ্জিত বিশ্ববাংলা পার্ক। ঝাউবনের অস্তিত্ব এখনও বর্তমান। কাছেই পরমানন্দ আশ্রম। সূর্য যখন ডুবুডুবু, আমরা চললাম শঙ্করপুরের দিকে। সারা সাগরবেলা লাল আভায় ভরিয়ে দিয়ে সূর্যদেব পাটে গেলেন। সুন্দর সাজানো গোছানো এই শঙ্করপুর সৈকত। পাথর বাঁধানো ঘাট, ওয়াচ টাওয়ার, নানান দোকানপাট ও হোটেল। কিন্তু দীঘার মতো থিকথিকে ভীড় নেই। পার্কের চারপাশে লোকজন নিজের আমেজে সময় কাটাচ্ছে

 

ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে এল। আলোয় ঝলমল করে উঠল সৈকতভূমি। তবে সবকিছুকে ম্লান করে দিয়ে চাঁদমামার উদয় হল। দিনটা যে ছিল পূর্ণিমা।
ও মা, কি সুন্দর চাঁদ !
কবির ভাষায়-
কি আশ্চর্য রূপার থালার মত চাঁদ !
যে জ্যোৎস্না দেখামাত্র ঘরের দরজা খুলে
ছাদের রেলিং ধরে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চলেছি
রক্তিম পূর্নিমার চাঁদ স্থির হয়ে আছে পূব আকাশে।
সবকিছু ভেসে যাচ্ছে অনুপম জোছনায়।
জলে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখতে দেখতে সব কিছু ভুলে যাই।
অনেক কিছু মনে পড়বে অতীতকে, ছোট ছোট স্মৃতিগুলোকে।
আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে,
পৃথিবীর প্রথম মানব বোধহয় এমন করে তাকিয়েছিল;
ঠিক এই চাঁদটির দিকেই।

হোটেলে ফিরে আবার সেই ব্যালকনিতে গিয়ে বসলাম। এ জায়গাটাকে আমার খুব মনে ধরেছে। এত সুন্দর হাওয়া দিচ্ছে যে পাখা চালানোর প্রয়োজন পড়ে না। চা আর পনীর পকোড়া এসে গেল। হোটেলে পাশের রুমের দুই ভদ্রলোক আমাদের আড্ডায় যোগ দিলেন। শুধু চায়ে তো আড্ডা জমে না। তাই এবার মশলা মুড়ি আর গরম চপের অর্ডার দেওয়া হল। খানিক বাদে সৌমেন ছেলেটি চপ আর মশলা মুড়ি দিয়ে গেল। ভ্রমণ, খেলাধুলা, সিনেমা, রাজনীতি সবকিছু নিয়ে আড্ডা তর্ক বিতর্ক চলল। রাজনীতি বিষয়ে আমরা দুজন ওদের সঙ্গে পেরে উঠলাম না।

এদিকে রাত দশটা বেজে কয়েক মিনিট। অনুপবাবু এসে বললেন, ডিনার রেডি। চললাম ডাইনিং রুমে। আমাদের ডিনারের মেনুতে ছিল রুটি, চিলি চিকেন, স্যালাড, সন্দেশ ও কোল্ডড্রিঙ্কস্। ওই দুই ভদ্রলোক ভাত ও চিকেন কারী খেলেন। দিনের বেলার মতোই রাতের রান্নাও খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মনে মনে বললাম, এখানকার রাঁধুনীর হাতের রান্না খেতে বারবার আসতে হবে। রাঁধুনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলাম। বেশ কিছুক্ষন ছাদে গিয়ে বসলাম। মনে হচ্ছিল রাতটা এখানেই বসে থাকবো, যতক্ষণ না চাঁদ ডুবে যায়। আমার জোছনা দেখা শেষ হয় না। পূর্ণিমা এবং পূর্ণতার অনুভূতি নিয়ে আমি জেগে থাকি।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও দু’ঘন্টা পরে নিজেদের রুমে ফিরতেই হল। নরম বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়ে পাড়ি দিলাম ঘুমের দেশে।

এসেছিলাম ভোরে, আবার ফিরেও যাব ভোরে। তবে এবারে বাসে নয়, লোকাল ট্রেনে ফিরব। হোটেলের বিল মিটিয়ে দিলাম। অনুপবাবু আমাদের হাসিমুখে বিদায় জানালেন। আবার আসতে অনুরোধ করলেন। কথা দিলাম, আসব আবার কোন একদিন। আগের দিনের সেই টোটোকে বলাই ছিল। নিকটবর্তী রেলস্টশন ‘রামনগর’, আধ ঘন্টায় পৌঁছে দিল। ওখান থেকে লোকাল ট্রেনে ফিরে গেলাম নিজের ডেরায়।

◆ যাতায়াত :
হাওড়া থেকে সকালের তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস এবং দুপুরের কান্ডারী এক্সপ্রেস প্রায় ৩ ঘন্টা ১০ মিনিটে নিকটবর্তী রেলস্টশন ‘রামনগর’ পৌঁছায়। এছাড়া সাঁত্রাগাছি স্টেশন থেকে সকালের দীঘাগামী লোকাল ট্রেন মেচেদা-পাঁশকুড়া হয়ে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টায় রামনগর পৌঁছায়। স্টেশন থেকে ভ্যান/টোটোতে চাঁদপুর (দূরত্ব ১২ কিমি)।
সড়কপথে কোলকাতা থেকে দীঘাগামী AC/Non-AC বাসে বালিসাই স্টপেজে নেমে টোটোতে ৬ কিমি দূরে চাঁদপুর। দীঘা থেকে ফেরার পথে চোদ্দ মাইল- শঙ্করপুর হয়ে অথবা এই বালিসাই- নিউ জলধা হয়েও চাঁদপুর ঘুরে যেতে পারেন। নিজস্ব বাইক বা গাড়ি থাকলে মেরিন ড্রাইভে চালানোর মজা চিরকাল মনে থাকবে।

◆ থাকা-খাওয়া :
আল্পনা হোটেল (7407644870 / 8617441686)
A1 রিসর্ট (9733559439)
রাই হোটেল (9732501697)
হোটেল মুন (9830401460)

◆ সাইট সিইং :
◆ চাঁদপুরের পাশেই শংকরপুর বীচ ও কিছুটা এগিয়ে মৎস বন্দর রয়েছে। শঙ্করপুর মৎস বন্দর ঘুরে আসতে পারেন। কাছেই ৩০ ফুকার সাইফুন (লকগেট) দেখে নিন। ফেরীঘাট থেকে নৌকায় চম্পা নদী পেরিয়ে ন্যায়কালি মায়ের মন্দিরে যাওয়া যায়। (বিকেলের দিকে এই ফেরী ঘাট বন্ধ হয়ে যায়)।
◆ তাজপুর বীচ – বিশ্ব বাংলা পার্ক ও নতুন লাইট হাউস , সকাল সকাল মেরিন ড্রাইভ বরাবর নিউ জলধা হয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
◆ স্বামী পরমানন্দ আশ্রম, এটি তাজপুরের লেক ভিউ রিসর্টের পাশে অবস্থিত। এখানে একটি কালি মন্দিরও রয়েছে।
◆ জলধা খটি, শুটকি মাছের প্রসেসিং সেন্টার। এখানে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শুটকি মাছের প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এটি মূলত শীতকালে খোলা থাকে।
◆ মন্দারমনি বীচ ঘুরতে গেলে দক্ষিন পুরুষোত্তমপুরে রামকৃষ্ণ আশ্রম দেখে নেবেন।
◆ বালিসাই বাসস্টপ থেকে সামান্য দূরে প্রাচীণ ভূঞ্যাঁগড় রাজবাড়ি ও প্রাচীণ বিশালাক্ষী মন্দির অবশ্যই দেখবেন। আর সকালবেলায় গেলে বালিসাই বাজারটা ঘুরে দেখবেন। প্রচুর সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়া বিক্রি হয়।
◆ মনে রাখবেন :
◆ সি বিচে কোনো প্রকার আবর্জনা (প্লাস্টিক বা ডাবের খোলা) ফেলবেন না।
◆ সি বিচে বাইক বা গাড়ি চালাবেন না।
◆ জোয়ারের সময় সমুদ্রে নামবেন না এবং মদ্যপান করে সমুদ্রে নামবেন না।
◆ ফটো আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
◆ হোটেলের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলবেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular