নিজস্ব সংবাদদাতা: বহুদিন আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এমন খবর অনেক আগে থেকেই দলের জানা ছিল বলে জানিয়ে দিলেন তৃনমূলের ভোট কুশলী পি.কে তথা প্রশান্ত কিশোর। গত ১৯তারিখ মেদিনীপুরের সভায় অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী আর তারপরে এই প্রথম মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে পিকে বলেন, “সেই কারণেই এক বছর ধরে তাঁকে দলের নানা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’
শুভেন্দু দলত্যাগের আগে পরে অভিষেক ব্যানার্জীর ক্ষমতা লোভের পাশাপাশি প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন দলত্যাগীরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে এতদিন পি.কে নিজে থেকে মুখ খোলেননি। শুভেন্দুপন্থীদের অভিযোগ ছিল দলে অভিষেক ব্যানার্জীর একাধিপত্য স্থাপনের লক্ষ্যেই পি.কের পরামর্শে দলে পর্যবেক্ষক পদটির বিলুপ্তিকরন করা হয় কারন ৭জেলার পর্যবেক্ষক হয়ে শুভেন্দু প্রায় অর্ধেক বাংলার নেতৃত্ব হয়ে বসেছিলেন। এছাড়াও শুভেন্দুকে একে একে বিভিন্ন পদ থেকে সরানো হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে পিকে-র দাবি, “শুভেন্দুর গতিবিধি সম্পর্কে অনেক আগেই টের পেয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণেই গত এক বছর ধরে তাঁর উপর নজর রাখা হচ্ছিল এবং সেই কারণেই ধিরে ধিরে তাঁকে দলের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।”
ওই সংবাদমাধ্যমকে পিকে বলেন, ‘‘তৃণমূলে থাকলেও বিজেপির সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ ছিল। সেটাতো উনি নিজেই বলেছেন। ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ আছে। এর পরেও কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেননি।’’ এটা ঘটনা যে ১৯শে ডিসেম্বর মেদিনীরের সভায় অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন,
‘‘যাঁদের জন্য গ্রামে-গ্রামে ঘুরেছি, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের কেউ খোঁজ নেননি। খোঁজ নিয়েছেন অমিত শাহ।’’ শুধু তাই নয় ওই সভাতে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সাথে তাঁর সম্পর্ক এবং মুকুল রায় তাঁকে প্রায়ই বলতেন যে, আত্মসম্মান থাকলে তৃনমূল দলটা ছেড়ে আয়।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘‘এত সব জানার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে দলে যথেষ্টই জায়গা দিয়ে আসছিলেন কিন্ত তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন শুভেন্দু।’’ এ বিষয়ে অবশ্য শুভেন্দুর তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।