নিজস্ব সংবাদদাতা: “সিঙ্গুর থেকে শিল্প তাড়িয়ে, টাটাকে তাড়িয়ে ভাঙড় থেকে জলপাইগুড়ি অবধি বোমার শিল্প বানিয়েছে তৃনমূল আর সেই শিল্পের জোরে মানুষকে মেরে গাছে টাঙিয়ে দিচ্ছে তারা কিন্তু ২০২১শে জনদেশে তৃনমূল কংগ্রেসকে উপযুক্ত জবাব দেবে।”
মেদিনীপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দুরে কেশপুরের একটি রক্তদান শিবিরে এসে এমনটাই জানিয়ে দিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ।
এই কেশপুরেই ৭দিন আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে বোমাবাজিতে মৃত্যু হয়েছে এক ১৪ বছরের ছাত্র সমেত ২তৃনমূল সমর্থক। কেশপুরের সেই দামোদরচক গ্রাম থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে প্রায় ১০০টি তাজা বোমা। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মঙ্গলবার ভারতী ঘোষ বলেন, ” তৃনমূল দলটাই পুরো হার্মাদদের দল। এদের নেতানেত্রীদের বাড়ি থেকে হাঁড়ি হাঁড়ি বোমা উদ্ধার হয়, কাঁড়ি কাঁড়ি গুলি উদ্ধার হয়। সেই দল আবার অন্যদের হার্মাদ বলে। ওরা এখন মানুষের রক্ত নিচ্ছে, প্রাণ নিচ্ছে তাই ভারতীয় জনতা পার্টির দায়িত্ব হয়েছে রক্তদান শিবির করার। ওরা রক্ত নেবে আর আমরা রক্ত দেব।”
সম্প্রতি তৃণমূলের সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী রাজ্যপালকে বিজেপির হার্মাদদের নেতা বলেছেন বলে দাবি করে কয়েকজন সাংবাদিক ভারতী ঘোষের কাছে এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঘোষ বলেন, ” রাজ্যপালকে দেশের সংবিধান দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্যের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার। তিনি রাজ্যের পরিস্থিতি জানতে চাইতেই পারেন তা নিয়ে হাউমাউ করে চেঁচিয়ে তাঁকে আটকানো যাবেনা। তিনি তাঁর ওপর প্রদত্ত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেই যাবেন।” এরপরই তাঁর সংযোজন, ” তৃণমূলের সংবিধান হল অপরকে গালাগালি করা, মানুষকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া, নথি পত্র ছিঁড়ে উড়িয়ে দেওয়া কিন্তু এবার দিন আসছে। ২০২১য়ে যে জনাদেশ বা পিপল ম্যান্ডেড আসতে চলছে তাতে নথিপত্র নয়, মাথার চুল ছিঁড়তে হবে তৃনমূলকে।”
উল্লেখ্য মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে এই কেশপুর থানার আনন্দপুরেই জনসভা করেছিল তৃনমূল ঠিক তারপরেই বিজেপির এই রক্তদান শিবির ও সেই উপলক্ষ্যে জমায়েত বুঝিয়ে দিল সহজে মাটি ছাড়ছে না বিজেপি। বিধানসভায় রীতিমত জোর টক্করে নামতে চলেছে বিজেপি। সব চেয়ে বড় কথা গত লোডসভায় এই কেশপুরেই নির্বাচনের দিন জোরালো বাধার মুখে পড়েছিলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী এই ভারতী ঘোষই। মঙ্গলবার কেশপুরের মাটিতে পা রাখতেই ‘ভারতী ঘোষ’ স্বাগতম শ্লোগান দিয়ে তাঁকে বরন করে নিল কেশপুরই।