Homeএখন খবরকলকাতায় প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দল, মন্ত্রীর কলার ধরল দলেরই কর্মী

কলকাতায় প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দল, মন্ত্রীর কলার ধরল দলেরই কর্মী

হাতাহাতিতে মন্ত্রী 

নিজস্ব সংবাদদাতা: খোদ মন্ত্রীর কলার ধরে টানাটানি করছে দলের এক কর্মী আর মন্ত্রী সেই কলার ছাড়িয়ে যুবককে ধাক্কা মারতে মারতে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন! না, বাংলার কোনও মফঃস্বল নয় এই ঘটনা খোদ কলকাতার। বর্তমানে কলকাতা হল শাসকদলের দাপট ভূমি। সেই দাপটে অন্য কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দশবার ভাবে। সেই কলকাতাতেই মন্ত্রীর নিগ্রহের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তৃণমূলের অন্দরের ঐক্যের কঙ্কাল রূপ ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে  রাসবিহারীতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হল প্রকাশ্য রাজপথে। জানা গেছে এলাকায় সরকারের উদ্যোগে সিনেমা দেখানো নিয়ে দ্বন্দ্ব। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় সিনেমা কর্মসূচিতে ওই এলাকায় সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা হয়। এই সিনেমা দেখানোর জন্য এলাকার আলো নেভানোর দরকার ছিল আর সেটা করতে গিয়েই শোভনদেবের সমর্থকদের সঙ্গে সাংসদ মালা রায়ের সমর্থকদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়। ঘটনার জেরে একপক্ষ রাসবিহারী মোড় অবরোধ করে। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ থাকায় দক্ষিণ কলকাতায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শোভনদেবের অভিযোগ করেছেন, মালা রায়ের ঘনিষ্ঠ মৃত্যুঞ্জয় নামের এক যুবক আমার জামার কলার ধরে টানাটানি করেছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে সাংসদ পালটা তোপ দেগে বলেছেন, “মন্ত্রীর লোকেরা এলাকার মহিলা ও যুবকদের নিজেই মারধর করেছেন। পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শোভনদেবের দাবি, “তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তর চিঠি দিয়ে অনুরোধ করায় এই ব্যবস্থা হয়েছিল। ওরাই পর্দা লাগিয়েছে, সিনেমাও দেখিয়েছে। আমরা আগেই পুরসভাকে চিঠি দিয়েছিলাম, ওই মঞ্চের আশেপাশে আলো ঘণ্টা তিনেকের জন্য বন্ধ করতে। কিন্তু সেই অনুরোধ মানা হয়নি। এরপর আমাদের কর্মীরাই দু’পাশের দু’টি আলো নিভিয়ে দেয়। তিন দফায় আলো জ্বালিয়ে দেওয়ায় রাজ্য সরকারের কর্মসূচি পালন করতে না পেরে চলে এসেছি।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও কাউন্সিলর মালা রায় পালটা দাবি করে অভিযোগ করেন, “পুরসভার অনুমতি না নিয়েই এলাকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুরসভার তালা ভেঙে তিন-চারটি ফিউজ তুলে নিয়ে গিয়ে প্রতাপাদিত্য রোড, সাহানগর রোড, রাসবিহারির এসপি মুখার্জি রোড-সহ সমস্ত বড় রাস্তার আলো নিভিয়ে দিয়েছিল মন্ত্রীর লোকেরা।”
সাংসদের দাবি গোটা এলাকা অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় বস্তিবাসী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে, বিক্ষোভ দেখিয়েছে।এদিন মন্ত্রীকে কুৎসিত গালাগালি করতে শোনাও গেছে বলে দাবি মালার সমর্থকদের। 

RELATED ARTICLES

Most Popular