নিজস্ব সংবাদদাতা: পুর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের ‘জমিদারি’ সব জায়গায় চলবেনা বলে জানিয়ে দিলেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস। তারই সাথে বিরোধীদের সঙ্গে শিশির অধিকারীদের যে দহরম মহরম চলে তা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়লেননা প্রবীন বিধায়ক। সব মিলিয়ে রীতিমত কটাক্ষ ও অবজ্ঞায় ভরিয়ে দিলেন অধিকারী রাজকে। জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের পুর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর করা শো-কজকে এগরা পাত্তাই দেয়না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য শুক্রবারই ছিল এগরা মেলার উদ্বোধন। ৩৪বছর ধরে চলে আসা এই মেলা মোটামুটি ভাবে সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই নেতা কর্মীদের পদাধিকার বলেই আমন্ত্রন করে থাকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। এগরা প্রবীন বামপন্থী নেতা অধ্যাপক প্রবোধ সিনহা এই মেলা কমিটির সভাপতি। সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মেদিনীপুর কেন্দ্রের সাংসদ দিলীপ ঘোষ, এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস, এগরা পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর বেরা, তৃনমূল ব্লক সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরা প্রমূখরা। উল্লেখ্য মেদিনীপুর সংসদীয় ক্ষেত্রের অধিন এগরা বিধানসভা এলাকা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কেন তৃণমূলের বিধায়ক, চেয়ারম্যান, ব্লক সভাপতি মঞ্চ বিনিময় করবেন এই নিয়ে শোরগোল ওঠে দলে। এবং এরপরই শো-কজ করা হয় বিধায়ককে। সঙ্গে সঙ্গে ১৭দিনের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে চেয়ারম্যানকে এবং ব্লক সভাপতিকে অপসারিত করে নতুন ব্লক সভাপতি করা হয় বিজন বিহারী সাউকে। এই খবর পাওয়ার পরই আগুন লাগে তৃণমূলের ঘরে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন শাস্তি প্রাপ্ত তৃণমূল নেতারা ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিধায়ক সমরেশ দাস বলেন, ” নিয়ম অনুযায়ী কোনও শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে দলে আলোচনা হবে, অভিযুক্তদের বক্তব্য শুনতে হবে। তা না করেই এক তরফা শাস্তি ঘোষনা হয়ে গেল ? এটা কি জমিদারি ব্যবস্থা চলছে দলে? এই সব জমিদারদের কে মানে?” দাস আরও বলেন, ” ওই নেতারা যখন বিরোধীদের সঙ্গে গিয়ে আলাদা করে কথা বলেন, তাঁদের কাছে যান তখন কিছু হয়না ? আমরা ছোটখাটো নেতা বলেই দোষ?”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দাসের মতই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এগরার অন্য নেতারাও। শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য এগরাকে নিজের কব্জায় আনার জন্যই অধিকারী পরিবার এই সব করছে। এগরায় যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সদ্ভাবের সংস্কৃতি রয়েছে তাকে নষ্ট করতে চান শিশির অধিকারীরা। আসলে ওঁদের এখানে পাত্তা দেওয়া হয়না বলেই এত রাগ।
মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজনীতির উর্ধে উঠে এই মেলা পরিচালিত হয়। নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা যে দলেরই হোকনা কেন তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই সবাইকে আমন্ত্রন জানানো হয়।