নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সাক্ষী থাকল ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা। বিজয় মিছিলের নামে এলাকায় ৫০টিরও বেশি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে এই বিষয়ে। ফল প্রকাশের পর বিজয় মিছিল করার বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
এই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে, রাতের অন্ধকারে ডিজে বাজিয়ে, রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু কর্মীর উপর অভিযোগ উঠছে।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ফাঁসিদেওয়া থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছায়। পরে ডিএসপি গ্রামীণ অচিন্ত্য গুপ্ত, নকশালবাড়ির সার্কেল ইন্সপেক্টর সুদীপ্ত সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক পৌঁছান। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব নিন্দা করেছে। এমন ঘটনা কেউ করে থাকলে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি, প্রশাসনের কাছে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দুর্গা মুর্মু। তবে, গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের আনন্দে মেতে উঠে সারাদিন বিজয় মিছিল করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ বিজেপির। আর রাতের অন্ধকারে চটহাট বাজারে মিছিল করার নামে কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতী ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দেবাশীষ দাস নামে এক ব্যবসায়ী।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ফাঁসিদেওয়া সাংগঠনিক ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আখতার আলি বলেন, রাতের অন্ধকারে এমন ঘটনা কখনই কাম্য নয়। আগে চটহাটে এ ধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি। আমাদের কোনও কর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকলে, প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা কখনওই চাই না, হিংসার পরিবেশ তৈরি হোক।