Homeএখন খবরসবংয়ে একই পরিবারে সংক্রমিত ৩, দেভোগে বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

সবংয়ে একই পরিবারে সংক্রমিত ৩, দেভোগে বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের করোনা সংক্রমনের কবলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং। সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী একই পরিবার ভুক্ত তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ বছরের এক ব্যক্তি ও তাঁর ২১বছরের কন্যা রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও ওই পরিবারের একজন ১৩ বছরের কিশোর রয়েছে। কিশোরের নিজের বাড়ি শালবনী থানা এলাকায় হলেও আত্মীয়তা সূত্রে ওই কিশোর এখানেই থাকে।

সবং পঞ্চায়েত সমিতির একটি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তেমাথানিতে বসবাস এই পরিবারের। স্থানীয় বাজারের ওই ব্যবসায়ী পরিবারের এক যুবক প্রথমে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কয়েকদিন আগেই তার পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। এরপরেই পরিবারের বাকি চার সদস্য সবং গ্রামীন হাসপাতালে তাঁদের নমুনা প্রদান করেছিলেন। ২৫জুলাই ওই নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। একদিন বাদে সোমবার ২৭ জুলাই তাঁদের মধ্যে তিনজনের পজিটিভ আসে। পরিবারের গৃহবধূর নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।

ঠিক কী ভাবে এই পরিবারের যুবক প্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন স্পষ্ট নয়। কিছুদিন আগে তিনি একটি প্রীতিভোজে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে আবার পারিবারিক ব্যবসার প্রয়োজনে কলকাতা যাতায়ত করতেন। এর কোনো একটি সূত্র থেকে তিনি আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওই যুবকের সংস্পর্ষেই এবার বাকি তিনজন আক্রান্ত হয়ে পড়লেন।
অন্যদিকে এই তিনজনের আক্রান্তের মধ্যে দিয়ে সবং থানা এলাকায় মোট ১৮জন আক্রান্ত হলেন বলেই জানা যাচ্ছে যার মধ্যে এই দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই ৭ জন আক্রান্ত হলেন। এর আগে ওই যুবক ছাড়াও একজন পুলিশ কর্মী, একজন ফেরিওয়ালা ও আরও একজন যুবক আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই আক্রান্তের স্থান গুলি ছিল জুলকাপুর, লুটুনিয়া।

এখনও অবধি সবংয়ের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭টি তে করোনা সংক্রমনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমন ঘটল দেভোগ অঞ্চলে, ৭ জনের। এরপর সবং গ্রামপঞ্চায়েতে ৪ টি ও চাউলকুড়িতে ৩ টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিষ্ণুপুর, নারায়নবাড়, মোহাড় ও নওগাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১জন করে সংক্রমিত হয়েছে। সবং ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই মুহূর্তে সবং এলাকায় উপসর্গ হীন করোনা বাহক রয়েছেন ভাল মাত্রায়। তাই করোনা বিধি মেনে চলা এখন খুুুবই জরুরি।

RELATED ARTICLES

Most Popular