নিউজ ডেস্ক:জলপাইগুড়ির একটি চা বাগানের পুকুর থেকে একের পর এক তিন কিশোরীর দেহ যুদ্ধ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সাঁতার না জানা ওই কিশোরীরা কেন পুকুরে নামল বা আদৌ তারা পুকুরে নেমেছিল নাকি কোনও দুষ্কর্মের পরিনতির পর তাদের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে ধন্দে ওই পরিবারগুলি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা বিষয়টিকে ঘিরে রহস্য দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য বুধবার রাতে চা বাগানের পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই তিন কিশোরীর মৃতদেহ। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের রায়পুর চা বাগানের একটি পুকুর থেকে তিন কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বাগানের তিন কিশোরী সোনামুনি কুড়ি (১৫), অণু মাঝি (১৫) ও অগস্টিনা ওঁড়াও (১২) বুধবাল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। বাগান চত্বরে খোঁজ করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। পরে বাগানের পুকুরের ধারে কিশোরীদের জামা ও জুতো দেখে স্থানীয় যুবকেরা পুকুরে নামেন। এরপরেই পুকুর থেকে তিন কিশোরীর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাগানের বাসিন্দা তথা জলপাইগুড়ি পাতকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, প্রধান হেমব্রম জানান, রায়পুর চা বাগানেরই পুকুর থেকে তিন নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই নাবালিকাদের কেউই সাঁতার জানত না। তাই মনে হচ্ছে, পুকুরে স্নান করতে নেমেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই কিশোরীদের বয়স যথেষ্টই পরিণত। যদি সাঁতার না জানে তবে তারা পুকুরে নামল কেন? অনেকের মতে তিনজনের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। হতে পারে কোনো কারণে একজন পুকুরে পড়ে যাওয়ার পর তাকে উদ্ধারের জন্য বাকি দুজন পুকুরে নেমে পরপর তলিয়ে গেছে। অথবা কোনও দুষ্কর্মের পর কেউ বা কারা তাদের ঠেলে ফেলে দিয়েছে।
পরিবার এবং স্থানীয় প্রধানের পক্ষ থেকে তাদের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। কীভাবে মৃত্যু হল ওই তিন নাবালিকার, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে, কিভাবে ওই কিশোরীরা পুকুরে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিন কিশোরীর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার।