ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমণে ধুঁকছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে এইমূহুর্তে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। হুহু করে বাড়ছে মারন ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে এবছর ভারত থেকে হজে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। এই মূহুর্তে সৌদি আরবের পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক। ফলে এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভিকে ফোন করেন সৌদি আরবের হজ এবং উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী মহম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন। করোনা মোকাবিলায় এবছর ভারতের তীর্থযাত্রীদের হজে না পাঠানোর আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই এবার ভারতীয়দের হজে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানান কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।
মঙ্গলবার এবিষয়ে টুইট করে নকভি বলেন, “করোনা মহামারীর গুরুতর সমস্যার পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে এবং মানুষের স্বাস্থ্য এবং মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে হজ পালনের জন্য মুসলিমরা ভারত থেকে সৌদি আরবে যাবেন না।” এদিকে ইতিমধ্যেই সৌদি আরব সরকারের তরফে করোনা সংক্রমণ রুখতে এবছর বিদেশি হজযাত্রীদের হজে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে সামনের বছর বিদেশি তীর্থযাত্রীদের হজের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এই মূহুর্তে তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এবছর শুধু মাত্র সৌদি আরবের সীমিত সংখ্যক কিছু তীর্থযাত্রীদের হজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই এবছর হজে যাওয়ার জন্য মোট ২১৩,০০০টি আবেদন জমা পড়েছিল। সৌদি আরবে বিদেশিদের হজে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হলেও যেভাবে দেশ বিদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে সেকথা মাথায় রেখে এদেশের সরকারের তরফেও এবছর হজের অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে কিনা সে বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছিল৷ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আবেদনকারীরা যে টাকা জমা দিয়েছিলেন তার পুরোটাই ফেরানোর প্রক্রিয়া মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। টাকা সরাসরি আবেদনকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
এবছর পুরুষ আত্মীয় ছাড়া প্রায় ২,৩০০ জন মহিলা হজে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন অনুযায়ী তাঁরা আগামী বছর হজে যেতে পারবেন। পাশাপাশি, আগামী বছর যে মহিলারা পুরুষ আত্মীয় ছাড়া হজে যাওয়ার আবেদন করবেন, তাঁদেরও তীর্থযাত্রায় অনুমতি দেওয়া হবে।