নিউজ ডেস্ক:জুলাইয়ের মাঝামাঝি এক লাফে ১১ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা বাড়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি ও পেনশানভোগীদের ডিএ বেড়ে হয়েছে ২৮ শতাংশ। এই বছরের ১ জুলাই থেকেই কার্যকর হয়েছে সেই বর্ধিত হারের ডিএ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকেে কার্যকর হল মহার্ঘ ভাতা অর্থাৎ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অন্তত ৫০ লক্ষ কর্মী ও পেনশনভোগী এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন। আর সেই সুখবরের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকদফা সুখবর এসেছে একটি সংস্থার সমীক্ষায়। যেখানে জানানো হয়েছে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অনেকটাই বাড়তে পারে ভারতীয় কর্মচারিদের বেতন !
ওই সংস্থা জানিয়েছে আগামী অর্থবর্ষে অনেকটাই বাড়তে পারে ভারতীয় কর্মীদের বেতন এমনটাই উঠে এসেছে সমীক্ষায়। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সংসার চালাতে, টিকে থাকতে পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই।
দেশের লক্ষাধিক কর্মী বিগত কয়েক মাসে কাজ হারিয়েছেন। যাঁদের চাকরি টিকে গিয়েছে, তাঁদেরও বেতন বাড়েনি সে ভাবে। অনেক সংস্থায় আবার কর্মীদের বেতন কমেছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি দিল সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার ফলাফল।সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে অনেকটাই বাড়তে পারে ভারতীয় কর্মচারিদের বেতন।সমীক্ষায় আশা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, লকডাউনের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে ভারতীয অর্থনীতি।
সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে কর্মসংস্থান ও নিয়োগ সংস্থা Michael Page এবং বিমা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা Aon Plc-এর একটি যৌথ সমীক্ষার রিপোর্ট।Michael Page and Aon Plc-এর ওই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ যদি নিয়ন্ত্রিত হয়, সে ক্ষেত্রে আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ৬ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে ভারতীয় কর্মচারিদের বেতন।
তবে,বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে চলা করোনা অতিমারীর ধাক্কা সামলে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।