নিউজ ডেস্ক: এবারে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের জন্য নতুন উদ্যোগ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের। তাদের শারীরিক অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বাড়ির কাছেই বিশেষ ক্যাম্প করে করোনা টিকা দেওয়া হবে, এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে। যদিও কেন্দ্রের আগে রাজ্যের এক প্রত্যন্ত বনবস্তি এলাকায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
সারা দেশের সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই ভিড় বাড়ছে টিকা নেওয়ার জন্য। বাড়ি থেকে দূরে হাসপাতাল বা টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে বিপাকে পড়ছেন অনেক প্রবীণ নাগরিক৷ আবহওয়ার প্রতিকুলতাকে উপেক্ষা করে বয়সের বোঝা সঙ্গে নিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছেন তারা। মূলত তাদের সুবিধার্থেই এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে৷
তবে ৬০ বছরের নিচেও বিশেষ ভাবে সক্ষম নাগরিকরাও এই সুবিধা নিতে পারবেন। স্থানীয় কমিউনিটি হল, স্কুল ভবন, বৃদ্ধাবাস, পঞ্চায়েত অফিসে এই ধরনের ক্যাম্পগুলির আয়োজন করা হবে৷ কোন অঞ্চলে কোথায় এই ধরনের ক্যাম্প করা হবে, টিকাকরণের জন্য গঠিত হবে টাস্ক ফোর্স। সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে এই টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে বলে নির্দেশিকায় লেখা রয়েছে। এই টাস্কফোর্সের সদস্যরা যে কোনও এলাকায় গিয়ে শিবির করে করোনা টিকা দিতে পারবেন।
তবে কেন্দ্রের আগে রাজ্যে আলিপুরদুয়ারের এক প্রত্যন্ত বনবস্তি এলাকায় দুয়ারে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। জয়ন্তী এলাকায় গত ২৫ মে পৌঁছে গিয়েছিলেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন। সঙ্গে ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। দুরত্বের কথা মাথায় রেখে টিকাকরণ অভিযান করা হয়। শিবির করে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি চলে এদিন।
এই বিষয়ে কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান যে, ‘প্রত্যন্ত বনবস্তি এলাকার বাসিন্দাদের কথা চিন্তাভাবনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা গ্ৰামেই ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা করেছি । জয়ন্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, ‘আমাদের এখান থেকে হাসপাতাল বহু দূরে। বন-জঙ্গলের পথ পেড়িয়ে হাসপাতালে যেতে হয়। পাশাপাশি লকডাউনের জন্য গাড়ি না থাকায় আমাদের হাসপাতালে যেতে আরও সমস্যা হয়। তাই গ্ৰামেই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য শিবির তৈরি হওযায় আমরা খুব উপকৃত হলাম।‘ উল্লেখ্য। এদিন জয়ন্তী এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর।