নিজস্ব সংবাদদাতা: গত কয়েক বছরে বারংবার চুরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার একটি সমৃদ্ধ বাজার খাকুড়দাতে অথচ গা নেই পুলিশের। আর পুলিশে এই উদাসীনতায় একবছরের মধ্যে দু’বার চুরির খেসারত গুনতে হল একটি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের দোকান মালিককে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঙ্গলবার রাতে রীতিমত কংক্রিটের ছাদ কেটে নীলকমল ইলেকট্রনিক্স নামে একটি বহুজাতিক ইলেকট্রনিক্স দোকানে ঢুকে লক্ষাধিক টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে ডাকাতের দল ।এই নিয়ে মোট দুবার এই ধরনের চুরির ঘটনা ঘটল উক্ত দোকানে ।তবে প্রথমবারের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি ।আবার দ্বিতীয়বার এই চুরির ঘটনা ঘটে যাওয়ায় চিন্তিত এলাকার ব্যবসায়ীরা ।সেই সঙ্গে পুলিশের কার্যকলাপ নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রসঙ্গত খাকুড়দা বাজারে এই ধরনের চুরির ঘটনা প্রায় ছয় থেকে সাত বার ঘটেছে ।আবার একই সঙ্গে একরাত্রে একাধিক দোকানেও চুরির ঘটনা ঘটেছিল । সূত্রের খবর বাজার কমিটির পক্ষ থেকেও এই নিয়ে পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ।সবক্ষেত্রেই পুলিশ এসে রুটিন তল্লাশি করে গেছে ।কোন বারে ধরা পড়েনি দুষ্কৃতকারীরা ।তাই এতে চিন্তিত এলাকাবাসি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঙ্গলবার ছিল ভাতৃদ্বিতীয়া তাই বাজারে মানুষের সমাগম ছিল বেশ ।মোটের উপর ভালোই ব্যবসা করেছেন দোকানিরা ।তাই এই দিনটিকে লক্ষ্য রেখে চুরির পরিকল্পনা করেছিল দুষ্কৃতীরা ।উক্ত দোকানের মালিক কমল দাস জানান -“মঙ্গলবার দোকান যথারীতি সঠিক সময়ে বন্ধ করেই বাড়ি গেছি ।আজ সকালে অর্থাৎ বুধবার এসে দোকান খুলে দেখি দোকানের টাকা রাখাল বক্স গুলির তালা চাবি সব ভাঙ্গা রয়েছে ,কোনটি আবার খুলে রয়েছে । ভেতরে কোন টাকা-পয়সা নেই ।তারপর খোঁজ নিয়ে দেখি ছাদের ওপরে একটি দেওয়াল ভাঙ্গা ।এখন বর্তমান পুলিশে জানিয়েছি । এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চুরির ঘটনা ঘটল আমার দোকানে ।এর আগের বারে পুলিশ এসে রুটিন তল্লাশি করে গেছিল কিন্তু কেউ ধরা পড়েনি ।আমরা ব্যবসায়ীরা এই নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছি ।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে এবারেও রুটিন তল্লাশিতে এসেছিল বেলদা থানার পুলিশ আধিকারিকরা ।তল্লাশি করতে গিয়ে বেশ কিছু যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে তারা ।ভাঙা দেয়ালের কাছে সেগুলি পড়েছিল ।উদ্ধার হওয়া যন্ত্রাংশ গুলির মধ্যে ছিল দেওয়াল ভাঙার জন্য একটি ছানি ,চটের বস্তায় জড়ানো একটি লোহার হাতুড়ি ,বড় লোহার বাটখারা সহ অন্যান্য ছোটখাটো আনুষাঙ্গিক যন্ত্রাংশ ।এখন দেখার এই সকল প্রমাণ কতটা সাহায্য করে দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশ প্রশাসনকে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বারবার খাকুড়দা বাজারে চুরির ঘটনা ঘটায় সেই সঙ্গে দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ায় চাপা ক্ষোভ কাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দা সহ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।এক গহনার ব্যবসায়ী জানালেন, ”এতবড় বাজারে কোনও সিসিটিভির ব্যবস্থা হয়নি আজও। নাম মাত্র সিভিক পুলিশ রাত পাহারায় থাকে। তারা যে কি পাহারা দেয় তা পরিষ্কার হয়ে গেল গতকালই। একটা কংক্রিটের ছাদ ছেনি হাতুড়ি দিয়ে ডাকাতের দল কাটল অথচ তারা টেরই পেলনা! এরপর তো ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।”