নিজস্ব সংবাদদাতা: জেলায় কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর বাসীর একাংশের যতই ক্ষোভ থাকুকনা কেন দিনের শেষে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক তাই প্রতিফলিত হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিনে। বুধবারের পর ফের বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত জেলাকে পেছনে ফেলে দৈনিক সংক্রমনে ফের শীর্ষে উঠে এসেছে জেলা। গত শনিবারই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রথম শীর্ষে আসতে দেখা গিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরকে। মাঝখানে ৩দিন বাদ দিয়ে ফের পরপর ২দিন শীর্ষে আসায় দুশ্চিন্তায় জেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে এদিন রাজ্যে ফের বেড়ে গেছে দৈনিক সংক্রমন। টানা ৪ দিন বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ হাজারের নীচে থাকলেও গত সোমবার যেখানে নয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০-এর নীচে নেমে গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার আরও ৯৫ জন যুক্ত হওয়ায় হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯৯৫ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বুধবার ৯৮২ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫,০৯,২১৮।
বৃহস্পতিবার ৯৮ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। যে সংখ্যাটা বুধবার ১০০-এর উপরে ছিল। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় ৯৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় ৮৭ জন, দার্জিলিঙে ৮৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৬ জন, হুগলিতে ৬৩ জন, নদিয়ায় ৫৬ জন, কোচবিহারে ৬৫ জন, হাওড়ায় ৫৩ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দশের নীচে আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর (৮), মালদহ (৪), মুর্শিদাবাদ (৭), পুরুলিয়া (১) এবং বীরভূমে (৯)।
দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। বুধবার যে সংখ্যাটা ছিল ১৬। সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭,৮৬৭। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে ৪ জন মৃত নিয়ে বৃহস্পতিবার শীর্ষে জলপাইগুড়ি। উত্তর ২৪ পরগনায় ৩জন, হাওড়া ও কলকাতায় দু’জন করে; কোচবিহার, দার্জিলিং, নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে একজন করে মারা গিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের মৃত্যুটি হয়েছে আবার খড়গপুর শহরেই। সুভাষপল্লী এলাকায় বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পানের দোকান চালাতেন ওই ব্যক্তি। অসুস্থ হয়ে শালবনী করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।বুধবার মৃত্যু হয় তাঁর।
৭ই জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট মোতাবেক ঝাপেটাপুরে এক ২২বছরের যুবক ও গোলবাজারে ১৬ বছরের কিশোরী আক্রান্ত হয়েছে। কিশোরীর মা সন্দেহভাজন আক্রান্তের তালিকায় আছেন ইনকনক্লুসিভ হিসাবে। সাউথ সাইডে আক্রান্ত ২৭বছরের রেলকর্মী। ঘাটালের শ্রীরামপুর ও কুশপাতায় এক মহিলা ও পুরুষ আক্রান্ত। মেদিনীপুর শহরের ২জন ও সবংয়ের চকপলস্যায় ১জন আক্রান্ত। বেলদার পড়িয়াচক, ফান্দাড়ে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। গড়বেতার সাতবাঁকুড়া দ্বারিগেড়িয়ায় আক্রান্ত ৬০ ও ৫৩ বছরের ২মহিলা। দাসপুর পলাশপাইতে আক্রান্ত ৬বছরের শিশুকন্যা। ক্ষীরপাইয়ের জামিরা,জাড়া ও ঝারুলে ৫৩ বছরের পুরুষ এবং ৪০ ও ৫৫বছরের মহিলা আক্রান্ত। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি নারায়নগড়ের দেউলিয়াচকের এক যুবকের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।