নিউজ ডেস্ক: একদিনের বিরতি দিয়ে দেশে আবারও ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দেশ জুড়ে নয়া রেকর্ড করোনার। বুধবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৩৭ হাজার বেশি। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৬৭ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ১ হাজার ১৮৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৯৩ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটা বেশি। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় এই প্রথম মৃত্যু ৩ হাজার পেরিয়ে গেল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬১ হাজার ২৭২ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেক কম হলেও এযাবৎকালের রেকর্ড। আপাতত দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস বেড়ে দাঁড়াল ২৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭০৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৭১ জন। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে প্রথম স্থানে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৯৫ জনের। দিল্লীতে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮১। চারিদিকে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিচ্ছে।
তবে ইতিমধ্যেই দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং অক্সিজেনের ঘাটতি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টে ২০১ পৃষ্ঠার একটি হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। হলফনামায় বলা হয়েছে যে, অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়াতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি তদারকি করছেন। অন্যান্য দেশ থেকে অক্সিজেন আমদানি করা হচ্ছে। হলফনামায় এও বলা হয়, ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহ তদারকি করছে।
দেশে অন্যান্যের রাজের মতো বঙ্গেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হচ্ছে। একদিনে বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪০৩ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ২৮১ জন। একদিনে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৬৪ জন। এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ভ্যাকসিন আসার খবর। রাজ্যে বুধবারেই আসছে ১০ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ। সূত্রের খবর, পুণে থেকে কোভিশিল্ডের যে ডোজ আসছে, তার মধ্যে ৬ লক্ষ রাখা হবে হেস্টিংসে কেন্দ্রীয় স্টোরে। বাকি ৪ লক্ষ বাগবাজারে রাজ্য সরকারের স্টোরে রাখা হবে।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১৪ কোটি ৭৮ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৬৭ জন।