নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোট মিটতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ক্রমশ জোরদার হতে শুরু করেছে। একদিকে যেমন অপর গোষ্ঠীর প্রধানদের সরিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া অন্য গোষ্ঠী অন্যদিকে শুরু হয়েছে পারস্পরিক মারামারি, হাতাহাতির ঘটনাও। শুক্রবার এমনি ঘটনার স্বাক্ষী থাকল জেলার চন্দ্রকোনা ও কেশিয়াড়ী থানা এলাকা। দুটি ঘটনাতেই কার্যত: মুখ পুড়েছে শাসকদলের কারন আক্রান্তরা সরাসরি অভিযোগ এনেছেন নিজেরই দলের অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই।
শুক্রবার একটি ঘটনা ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বান্দিপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বান্দিপুর এলাকায়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য নীলকমল পন্ডিতকে মারধরের অভিযোগ ওঠে খোদ চন্দ্রকোনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষের অনুগতদের বিরুদ্ধে। এ’দিন দুপুরে বান্দিপুর উত্তর বুথ তৃণমূল কার্য্যালয়ে তালা দিয়ে দেয় অনুগতরা। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় পঞ্চায়েত সদস্য নীলকমল পন্ডিতকে এমনটাই অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত সদস্যর।ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
যদিও এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ।তিনি পাল্টা দলের পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেন রেশন সহ একশো দিনের কাজ নিয়ে একাধিক দুর্নীতি ও মাতব্বরির। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনে ওই অঞ্চলে হীরালাল ঘোষ বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছেন। এমন অভিযোগ করেন পন্ডিত।
অন্যদিকে কেশিয়াড়ীতে নিজেদেরই পঞ্চায়েত সদস্যদের অভব্য আচরণ এবং আক্রমণের শিকার হলেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান।ঘটনা কেশিয়াড়ী ব্লকের বাঘাস্তি ৫ নম্বর অঞ্চলের। অভিযোগ অঞ্চলের প্রধান ব্লকের আধিকারিকের উপস্থিতিতে বাঘাস্তি ৫নং গ্রামপঞ্চায়েতের উন্নয়ন পরিকল্পনা সমেত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সদস্যদের আলোচনায় আহ্বান করেন। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়।
অভিযোগ অঞ্চল প্রধানের বিরুদ্ধে নানান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য এবং দুই বহিরাগত। সেই সময় বাঘাস্তি অঞ্চলের মহিলা প্রধান রুমি বেরা গিরি হেনস্তার স্বীকার হন বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ বোধ করলে প্রধানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ঘটনার পর প্রধান পঞ্চায়েত সদস্য-ঝর্না জানা, পাখি রাউত, চন্দনা রানা , সুক্রাম সিং, সিতা প্রামানিক সহ ৭ জনের নামে থানায় এফআইআর করেছেন বলে জানা গেছে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার খোঁজ নিচ্ছে জেলা।