বিশ্বজিৎ দাস: করোনা মোকাবিলায় আরও কড়াকড়ি পদক্ষেপ রাজ্যের। আবারও বন্ধ হচ্ছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস, বন্ধ থাকবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাড় থাকবে কেবল জরুরি পরিষেবায়। বন্ধ থাকবে সমস্ত বাস, মেট্রো ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা। আগামী ১৫ দিনের জন্য রাজ্যের তরফে জারি হল এই নির্দেশিকা। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধি নিষেধ না মানলে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কড়া বার্তা মুখ্য সচিবের।
রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবার থেকে জারি হবে এই বিধি। জারি থাকবে ৩০ মে পর্যন্ত। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান,” সব স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সব সরকারি, বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব দফতর বন্ধ থাকবে। শপিং মল, স্পা, রেস্তোরাঁ, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, সিনেমা হল বন্ধ থাকবে।”
বাজার দোকান খোলা রাখার ক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, “মুদি দোকান, বাজার-হাট, দুধ, রুটি, মাছ-মাংস, সব্জির দোকান সকাল ৭-১০ টা অবধি খোলা থাকবে। মিষ্টির দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এবার পরিবহনের ক্ষেত্রেও বিধি আরোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, লোকাল ট্রেন, মেট্রো, বাস পরিষেবা, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে ট্যাক্সি, অটো চলাচল। সব ধরণের জমায়েত বন্ধ থাকবে।”
এছাড়া মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে চা বাগান খোলা রাখা যাবে। জুট মিলগুলিকে ৩০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে, এটিএম চালু থাকবে। পেট্রোল পাম্প, অটো রিপেয়ার শপ খোলা থাকবে।
মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি আমন্ত্রিত নয়। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, সৎকারে ২০ জনের বেশি জমায়েত নয়। রাত ৯টা থেকে পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনেকদিন থেকেই গুঞ্জন উঠছিল যে, ঈদের পরেই হতে পারে সম্পূর্ণ লকডাউন। এবার সেই ভবিষ্যৎবাণী একেবারে না হলেও কিছুটা সত্যি করে দিয়ে রবিবার থেকে কড়া পদক্ষেপ নিতে চললো বাংলার সরকার। কিছু কিছু বিধিনিষেধ আগামী ১৫ দিনের জন্য মেনে চলতে হবে আমাদের। বিধিনিষেধ না মানলে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।