ওয়েব ডেস্ক : দিন দুয়েক আগে হাওড়ার ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন কোভিড হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক করোনা রোগী। শুক্রবার হাসপাতালের কাছের পুকুর থেকেই উদ্ধার হল নিখোঁজ রোগীর দেহ। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি উলুবেড়িয়ার জোয়ারগড়ির বাসিন্দা। গত সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার সঞ্জীবন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু বুধবার আচমকা হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান। ঘটনায় মৃত করোনা রোগী পরিবারের অভিযোগ, সোমবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর হাসপাতালে রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া হলে রোগী সুস্থ আছে জানানো হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার হাসপাতালের তরফে রোগীর পরিবারকে জানানো হয়, বুধবার রাতে হাসপাতাল থেকে আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছেন ওই রোগী। ঘটনার পর পরউ উলুবেড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এদিকে, শুক্রবার সকালে উলুবেড়িয়ার বৈকন্ঠপুরে একটি পুকুরে এক ব্যক্তির দেহ ভেসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর পরই দ্রুত উলুবেড়িয়া থানায় খবর দেওয়া হলে খবর পেয়ে উলুবেড়িয়া থানার আইসি কৌশিক কুন্ডু সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। ঘটনায় স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় মৃত ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা নন। এরপর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বুধবার সঞ্জীবন হাসপাতাল থেকে যে করোনা রোগী উধাও হয়ে গিয়েছিলেন এই মৃতদেহ তাঁর৷ এদিকে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে গেলে আচমকা পুলিশকে বাধা দেন এলাকার বাসিন্দারা। কিভাবে হাসপাতাল থেকে করোনা রোগী উধাও হয়ে গিয়ে পুকুরে মিলল? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর পেয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
অন্যদিকে, ওই করোনা রোগীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে হাওড়া সঞ্জীবন হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হাসপাতালের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা। হাসপাতাল গেটের সামনে চলে ইট বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টায় শেষমেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ পর শুক্রবার দুপুর নাগাদ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।