নিউজ ডেস্ক: নদীর ধারে পড়ে ছিল এক যুবকের মরদেহ, যা খুবলে খাচ্ছিল শুকরে। খবর পেয়ে সেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুরু করে তদন্ত। আর তদন্তে নেমে যে তথ্য সামনে আসে, তাতে করে খোদ চমকে ওঠেন পুলিশ আধিকারিকেরাই। জানা যায়, ৫ বছর আগের খুনের সহযোগীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন এক মহিলা, যিনি সম্পর্কে মৃত যুবকের বৌদি এবং ৫ বছর আগে যাকে খুন করা হয়েছিল, তিনি ছিলেন এই মৃত যুবকের দাদা। অর্থাৎ ৫ বছর আগে বৌদি ও দেওর মিলে খুন করেছিল ওই ব্যক্তিকে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। দেখা যাচ্ছিল শুকর তা খেতে শুরু করে দিয়েছে। এরপর দেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারা জানতে পারে নিহত ওই ব্যক্তির নাম মোহন। সে বৌদি ও ভাইপোর সঙ্গে কোলারের দামাখেড়া বস্তি অঞ্চলে থাকে। খোঁজ মেলে তাঁর বৌদির। এরপর পুলিশ তখন তার বউদিকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের দাবী, ওই মহিলার স্বীকার করেছে দেওরকে খুনের ঘটনা।
পাশাপাশি পুলিশ আরও জানায়, ওই মহিলার থেকে তাঁরা আরও যা জানতে পেরেছেন, তা চোখ কপালে ওঠার মতন। ওই মহিলা জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন জানিয়েছেন, দেওরের সঙ্গে মিলে পাঁচ বছর আগে নিজের স্বামীকে খুন করেছেন এবং সেই মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন, যেখানে তাঁরা থাকতেন।
মহিলা এমন বয়ান দেওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। যে বাড়িতে বা যে জায়গায় স্বামীতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়, সেখানে শনিবার গভীর রাতেই খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। সেখানে থেকে কঙ্কালও উদ্ধার হয়েছে এবং সেটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ দাবী করেছে, স্বীকারোক্তিতে ওই মহিলা জানিয়েছে, দেওরের সঙ্গে মিলে তিনি এই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে সেখানেই তারা বসবাস করছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে দেওরের সঙ্গেই শুরু হয় বিবাদ। আর তারপর তিনি ঠিক করেন, এবারে দেওরকেও সরিয়ে ফেলতে হবে। তাই ছেলের সাহায্য নিয়ে দেওরকেও পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয় এবং তার মৃতদেহ কলিয়াসোত নদীর ধারে ফেলে দেয়। শুক্রবার দেখা যায় শুকর সেই মৃতদেহ খুবলে খেতে আরম্ভ করেছে। আর সেই থেকেই শুরু হয় তদন্ত এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আসে সাফল্য। পুলিশের জালে ধরা পরে মূল অভিযুক্ত।