ভীষ্মদেব দাশ, পূর্ব মেদিনীপুরঃ বাবা-ই শিশুকন্যার খুনি! মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাতদন্তের জন্য কবর খুঁড়ে বার করা হল শিশুকন্যার মৃতদেহ। গত শুক্রবার মহিষাদল থানার গাজীপুর গ্রামে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫বছরের শিশুকন্যা সোহানা। স্থানীয়রা সোহানাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। তারপরই কবরস্থ করা হয় ছোট্ট সোহানার দেহ।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেও পুলিশকে জানায়নি পরিবার, না জানিয়েই কবরস্থ করা হয়েছিল। ছোট মেয়ে সোহানার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবরে ব্যাকুল হয়ে ওঠে মা রোজিনা বিবি। ঘটনার পরেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। মেয়েকে খুন করেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেও অভিযোগ করেন। মেয়ের দেহ কবরস্থ হওয়ার পরেই স্বামী সিরাজুল ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানান তিনি। এরপর হলদিয়া আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তৎপর হন মহিষাদল থানার পুলিশ। রবিবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবরস্থানে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত পারিবারিক অশান্তির জেরে সম্পর্ক ভালো ছিল না সিরাজুল ও রোজিনার। রোজনামচা অশান্তির কথা জানালেন স্থানীয়রাই। অশান্তির জেরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি নন্দীগ্রামে এসে থাকেন রোজিনা বিবি। রোজিনা বিবি ও সিরাজুলের দুই মেয়ে। গত ১০দিন আগেই নন্দীগ্রামে বাপের বাড়িতে বড় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এসেছিলেন। ছোট মেয়ে সোহানা ছিল সিরাজুলের কাছেই ছিল।
গত শুক্রবার দুঃসংবাদ শুনেই মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন রোজিনা বিবি। এবিষয়ে হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখার্জি বলেন, পুলিশকে না জানিয়েই শিশুর মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছিল। মৃত শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশ মতো আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। কবর খুঁড়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের এখনও আটক করা হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত চলছে।