ওয়েব ডেস্ক : সুশান্ত মৃত্যু রহস্য নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেই সাথে অভিনেতার মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে বাড়ছে মহারাষ্ট্র বনাম বিহার পুলিশের দ্বন্দ্ব। যত দিন যাচ্ছে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে ঠান্ডার লড়াই তত বাড়ছে। এরমধ্যেই মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে বিহার পুলিশকে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে৷ তারওপর রিয়া চক্রবর্তীর সন্দেহজনক গতিবিধি, সব মিলিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যে আচমকা সুশান্ত মৃত্যুতে নাম জড়ালো ঠাকরে পরিবারের উত্তরসূরীর। দিন কয়েক আগে টিম কঙ্গনা রানাউতের একটি টুইটকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত৷ নাম না করেই সেদিন তার টুইটে তোপ দেগেছিলেন ঠাকরে পরিবারের এক সদস্যের দিকে। এরপরই অভিযোগ ওঠে যে, মৃত্যুর আগের দিন সুশান্তের বাড়ির পার্টিতে কোনও রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিতি ছিল। এরপর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা বাঁধে। এবার সেই বিতর্ক নিয়েই সরব হলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে।
এ ঘটনার প্রসঙ্গে অবশ্য আদিত্য ঠাকরে অন্য কথা জানান। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে। সে কারণেই বিরোধী শিবিরগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণেই অভিনেতার মৃত্যুকে হাতিয়ার বানিয়ে রাজনীতি করছে সকলে। তবে আদিত্যর এই মন্তব্য যে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধেই, তা বোধহয় আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, বিজেপির একাধিক নেতামন্ত্রীদের অভিযোগ, উদ্ধব ঠাকরের সরকার বলিউড মাফিয়াদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। তার ওপর আবার কঙ্গনা নাম না নিলেও নিজের টুইটে স্পষ্ট বলেছিলেন, “বিশ্বের সেরা মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে, যিনি কিনা করণ জোহরেরও অতি প্রিয় বন্ধু, যাঁকে আদর করে সবাই বেবি পেংগুইন বলে ডাকে, তিনিও সুশান্তের বাড়ির পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন।” এমনকি আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক রয়েছে বলেও এর আগে একাধিকবার নানা গুজব শোনা গিয়েছিল। এবার সেসব কথাতেই জল ঢাললেন আদিত্য ঠাকরে। যদিও এবিষয়ে পালটা এক হাত নিলেন কঙ্গনাও।
এবিষয়ে আদিত্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, “এই নোংরা রাজনীতিতে আমি নেই। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বন্ধু থাকা কোনও অপরাধ নয়! এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে ঘিরে যেভাবে আমাকে এবং ঠাকরে পরিবারের বিরুদ্ধে কদর্য মন্তব্য করা হচ্ছে, তা দেখেই মুখ খুলতে বাধ্য হলাম। আসলে মহারাষ্ট্র সরকারের পারদর্শীতা ওদের কাছে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সুশান্তের মৃত্যুটাকে একটা ইস্যু বানিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে ওরা।”
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “সম্রাট বালাসাহেব ঠাকরে প্রপৌত্র হয়ে আমি কোনও দিনই এরকম কোনও কাজ করব না, যাতে ঠাকরে পরিবার এবং শিবসেনা পার্টির মানহানি হয়।” তবে আদিত্য ঠাকরের এই মন্তব্যের পর পরই পালটা জবাব দিয়ে কঙ্গনা বলেন, “তাহলে তোমার বাবাকে বলো সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিতে। যেগুলো এখনও ধোঁয়াশাতেই রয়ে গিয়েছে।”