নিজস্ব সংবাদদাতা: অকাল ছুটি কেড়ে নিয়েছে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ, কেড়ে নিয়েছে খেলার মাঠ, বন্ধুদের সাথে খুশি মজা সবই হারিয়ে গেছে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে। লকডাউনের জালে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব। আর সেই খুদেদের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে এবার বেরিয়ে পড়েছেন মাস্টার মশাই। হাতে কাঁধে স্কুলের লাইব্রেরীর বই, খেলার সরঞ্জাম। পশ্চিম মেদিনীপুরে মেদিনীপুর শহরের এক প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় প্রান ফিরে ফের খুশির হাওয়া খুদেদের মুখে।
সোমবার এমনই দৃশ্য দেখল মেদিনীপুর শহরের বল্লভপুরের বাসিন্দারা । স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে এসেছে মেদিনীপুর শহরের বল্লভপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে ওই স্কুলের লাইব্রেরি এখন উঠে যাচ্ছে স্কুলের বাচ্চাদের কাছে। বাড়িতে বসে থেকে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি যাতে অন্য কিছুও শিখতে পারে তাঁর স্কুলের পড়ুয়ারা তাই এই উদ্যোগ। স্কুলের পাঠাগারের বিভিন্ন বই স্কুলের বাচ্চাদের দিয়ে আসছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিনে অবশ্য তাদের ডেকে বই দেন প্রধানশিক্ষক নিজে। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে দাঁড় করানো হয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। বাচ্চাদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবক অভিভাবিকাদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় বই।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুলের বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই উদ্যোগ। এর ফলে শিশুরা উপকৃত হবে। তাদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে।” প্রধানশিক্ষকের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে এসেছেন তাঁর সহকর্মীরা। তাঁর এই উদ্যোগে অভিভাবকরাও খুশি। তবে সবচেয়ে বেশি খুশি খুদে পড়ুয়ারা। মাস্টারমশাইয়ের কেটে দেওয়া চক খড়ির গণ্ডির মধ্যে দাঁড়িয়েই যেন খো খো খেলার কোর্ট খুঁজে পেল তারা ।