ওয়েব ডেস্ক : করোনা ও লকডাউনের কারনে ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বজুড়েই কোপ পড়ছে মানুষের কর্মসংস্থানে। বাদ পড়েনি ভারতও, আগামীদিনে আরও বড়সড় ছাঁটাই আর কর্মহীনতার ইঙ্গিত মিলেছে। করোনা সংক্রমণের জেরে ভারতে বিশেষ করে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি খুইয়েছেন বহু কর্মী। চাকরি হারিয়ে পেটের দায়ে পেশা বদল করেছেন অনেকেই। কেউ করছেন সব্জি বিক্রি, তো কেউ চালাচ্ছেন অটো৷ লকডাউনের মধ্যেই যখন বেশ কিছু বেসরকারি অফিস লাগাতার কর্মী সঙ্কোচন করে চলেছিলেন সেই সময় টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে না।
এমনকি লোকসান সামলাতে কোনও সম্পত্তিও বিক্রি করবেন না তারা। কিন্তু এখন অন্য সুরে টাটা গ্রুপ। জনপিয় এক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনু্যায়ী, দীর্ঘ লকডাউনের জেরে বড়সড় লোকসানের মুখে টাটা গ্রুপ৷ এই পরিস্থিতিতে বিপুল ক্ষতির মোকাবিলা করতে কিছু দিনের মধ্যেই বেশ কিছু সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সে কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। টাটার মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে ইতিমধ্যেই ১,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে৷
সূত্রের খবর, লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ বিমান পরিষেবা, গাড়ি শিল্প ও এরোস্পেস সংক্রান্ত একাধিক ব্যবসা। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে টাটা গ্রুপ। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে একমাত্র পথ কর্মী ছাটাই। তবে কোন কোন শিল্পের কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে? জানা গিয়েছে, ছাঁটাই তালিকার হিটলিস্টে রয়েছেন টাটা মোটর্সের জাগুয়ার ল্যান্ড নরোভার শাখায় কর্মরত উৎপাদন বিভাগের কর্মীরা। এরপরেই নেদারল্যান্ডসে ইস্পাত উৎপাদন কর্মীরা। দুই জায়গা থেকেই আলাদা ভাবে ১,০০০ থেকে ১০,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে।
জানা গিয়েছে, ভারতে ২০১৯ অর্থবর্ষ অনুযায়ী, চতুর্থ মাসিকে ১,১০০ কোটি টাকা লাভ করেছিল টাটা গ্রুপ। কিন্তু এবছর লকডাউনের জেরে ওই একই কোয়ার্টারে ৯,৮৯৪ কোটি টাকা ক্ষতির মুখ দেখেছে টাটা গ্রুপ। এর জেরে পূর্ব পরিকল্পিত না হলেও বর্তমানে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাটা গ্রুপ। তবে ভারতের ঠিক কোন ব্যবসা থেকে কর্মী ছাঁটাই শুরু হবে তা এই মূহুর্তে সঠিকভাবে না জানা গেলেও খুব শীঘ্রই যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এখন সমস্যা হচ্ছে টাটার মত বড় কোম্পানির কর্মী সঙ্কোচন শুধুই টাটার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে টাটার অনুসারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলিতেও। ফলে ফের ভয়াবহ কর্মী সংকোচনের মধ্যে পড়তে চলেছে দেশ।