ওয়েব ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে ক্রমশ জটিল হচ্ছে সুশান্তের মৃত্যু রহস্য। সুশান্তের আত্মহত্যার মামলার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে সুশান্ত একবার নয় বরং দু’বারের চেষ্টায় আত্মহত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন। ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর সুশান্তের ঘরে ঢুকেই মেঝেতে একটি ছিন্নভিন্ন কাপড়ের বেল্ট পায় মুম্বাই পুলিশ।
তা দেখেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। একটি সবুজ রঙের কুর্তা ফ্যানে ঝোলানো ছিল। জানা গিয়েছে, তা দিয়েই আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত৷ এখন প্রশ্ন হল প্রায় ছ’ফুট লম্বা, ৮৬ কেজি ওজনের সুশান্তের ভার বহন করা কি ওই কাপড়টির পক্ষে সম্ভব, নাকি এক্ষেত্রে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই কাপড়টি কালিনা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সুশান্তের মৃত্যুর দিন পুলিশ তার ঘরে ঢুকে আলমারি খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানে আগোছালো জামাকাপড়ের মাঝে বেশ কিছু ইস্ত্রি করা কাপড় জামাও মজুত ছিল। এর থেকে অনুমান করা যাচ্ছে হয়তো প্রথম অবস্থায় সে কাপড়ের বেল্টটি নিয়েই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেটি ছিড়ে যাওয়ায় আলমারি থেকে অন্য একটি জামা নেন৷ সে কারণেই আলমারি খোলা ছিল।
তবে সুশান্ত যে আত্মহত্যা করেছেন তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট। গত ২৪ জুন অভিনেতার ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয় গলায় ফাঁস লাগার কারণেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এমনকি, ৫ সদস্যের ডাক্তারি টিম তার রিপোর্টটি খতিয়ে দেখেন। তারাও দাবি করেন, আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত। ওপর থেকে ঝুলে পড়ে শ্বাস আটকেই মারা গিয়েছেন ৩৪ বছরের এই অভিনেতা।
ইতিমধ্যেই তাঁর ভিসেরা সংরক্ষণ করে তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্টেরও অপেক্ষা করছে মুম্বই পুলিশ। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সুশান্তের আত্মহত্যা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন আত্মহত্যা নয় খুন করা হয়েছে সুশান্তকে। এর জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুগামী থেকে শুরু করে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, শেখর সুমনরা লাগাতার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন।