নিজস্ব সংবাদদাতা: “বাংলার গুন্ডা আর দিল্লির ডাকাত খেলা হবে খেলা হবে বলে চলেছে আর ভাবছে সেই চিৎকারে মানুষের সমস্যা সংকট, রুটি রুজির প্রশ্ন চাপা পড়ে যাবে। আর আগের মতই প্রতিবারের মত এবারও ঘুঘু ধান খেয়ে যাবে! না, এবার আর তা হবেনা। কারন এখুনি তারা জনরোষের ফাঁদে এখন ছটফট করছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের নিজেদের প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্য রাখতে এসে তৃনমূল আর বিজেপির ‘খেলা হবে’ শ্লোগান প্রসঙ্গে এমনই কটাক্ষ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে এবং নারায়নগড়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ধ্রুবশেখর মন্ডল এবং তাপস সিনহার সমর্থনে দুটি জায়গায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন মিশ্র। দু’জায়গাতেই তিনি বলেন, “এখন ভোটের সময়
মাননীয়া বলছেন চাকরি দেবেন, কাজ দেবেন। দশ বছর সমটায় কি করলেন। এমন কীর্তি করলেন যে এখন জনগনের সমস্যা সমাধান করা তো দূরের কথা নিজের দলটা আর থাকবে কিনা সন্দেহ!”
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ” লুঠেরা তৃণমূল, জরিমানার নামে তোলাবাজি, চিটফান্ডের টাকা লুঠকারী তৃণমূলের সাথে বিজেপির পার্থক্য কোথায়? মুখ গুলো সব একই দুদলে মিলেমিশে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন শুধু নয়, সব মজুদ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের হাতে ফেরত সহ দোষীদের শাস্তি ব্যাবস্থাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবেই। কেউ ছাড় পাবে না।”
তিনি বলেন, দেশের সম্পদ কারোর বাবার না। জনগনের সম্পত্তি। দিল্লীর বাহাদূর চৌকিদার ৬৬ হাজার কোটী টাকার রাষ্ট্রায়ত্ব সম্পত্তি বিক্রি করে দেশটাকে অর্থনৈতিক ভাবে লাঠে তুলে দেউলিয়া করেছে। এখন সোনার বাংলা গল্প। বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে ত্রিপুরার মানুষ টের পাচ্ছে কী জিনিস বিজেপি। মোদি জামানার ৬ বছরে ১৫ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়েছে গত ছয় বছরে। আর লকডাউনের পর আরও পাঁচ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়েছে। এই কর্মহীন হওয়া পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
বিজেপি জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি যেখান থেকে বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা আয় হতো সরকারের কোষাগারে। এসবের কৈফিয়ত দিক বিজেপি। মিশ্র দাবি করেছেন দুটো আলাদা জার্সি পরে নামা একই মুখ বিজেপি আর তৃনমূলের এই খেলা এবার মুখ থুবড়ে পড়বে, এবার সরকার হবে বাম কংগ্রেস আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চাই।