নিজস্ব সংবাদদাতা: আরব বিশ্ব থেকে মর্মান্তিক খবরে শোক আছড়ে পড়েছে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের গ্রামগুলিতে । এলপিজি গ্যাসের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণে পুড়ে মারা গিয়েছেন অন্তত ১৮জন ভারতীয় শ্রমিক। যদিও এখনও অবধি প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ওই দুর্ঘটনায় ২৫জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার সুদানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, মঙ্গলবার সুদানের খারতুম অঞ্চলে একটি সেরামিক কারখানায় বিস্ফোরন ঘটনার পর থেকে ১৬ জন ভারতীয় শ্রমিক নিখোঁজ ছিলেন । পরে জানা যায় ওই বিস্ফোরণে ১৮ জন ভারতীয় মারা গিয়েছেন। কারখানা থেকে পোড়া দেহগুলি উদ্ধার হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের শনাক্ত করা মুশকিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিস্ফোরণে সব মিলিয়ে ১৩০ জন আহত হয়েছেন এখনও পর্যন্ত। ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, তার মধ্যেও সাত জন ভারতীয়। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণে বেঁচে গিয়েছেন ৩৪ জন ভারতীয়। তাঁদের রাখা হয়েছে সালোমি সেরামিক ফ্যাকটরির আবাসনে।ওই কারখানাতে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, তামিলনাড়ু ও গুজরাতের ৬৮ জন শ্রমিক কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে গ্যাস ট্যাঙ্কারের বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তা থেকে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ ঘটে যায়। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গোটা এলাকাজুড়ে ছুটোছুটি করছেন অসহায় ও ভয়ার্ত মানুষজন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে কারখানা। দমকল ও নিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগুনে গোটা কারখানা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এলাকাটি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য সংবাদকর্মীদের জানান , দেহগুলি টেনে বার করা মুশকিল ছিল। সবই ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, কারখানাতে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিলনা। ছিলনা কোনও সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা আর সে কারনেই নিমেষে আগুনে ছড়িয়েছে হু হু করে। আহতের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তীব্র রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে।