ওয়েব ডেস্ক : গত শুক্রবার তৃণমূল-এসইউসিআই সংঘর্ষে প্রাণ যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির এক তৃণমূল কর্মী ও এক এসইউসিআই জেলা সদস্যের। দলীয় কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে এসইউসিআই এর তরফে সোমবার গোটা কুলতলিতে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ এর জেরে মিশ্র প্রভাব পড়েছে গ্রাম ও শহরে। এদিন সকাল থেকেই গ্রামগুলিতে থমথমে পরিবেশ। একেবারে জনমানবশূন্য। যদিও মফস্বলের ছবিটা কিছুটা অন্য। সেখানে বনধের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। তবে অশান্তির আশঙ্কায় সোমবার সকাল থেকেই এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে এসইউসিআই নেতা সুধাংশু জানার খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। এদিকে এসইউসিআই এর ডাকা বনধ ব্যর্থ করতে উঠে পড়ে লেগেছে শাসকদল। এদিন সকাল থেকেই গ্রামের দিকের দোকানপাট বেশিরভাগই বন্ধ। আতঙ্কে রাস্তায় লোকজনের দেখা নেই। পাশাপাশি গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারই পুরুষশূন্য। ফলে অশান্তির পরিবেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেউই নতুন করে বিপদে পড়তে চাননি। তবে বনধের একেবারে উলটো ছবি দেখা গিয়েছে কুলতলির একাংশে৷ সেদিকে স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে জনজীবন। খুলেছে দোকানপাট। হিংসার কথা ভুলে পথে নেমেছে বহু মানুষ। তবে অশান্তি কথা মাথায় রেখে রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে কুলতলির বিভিন্ন এলাকায়।
প্রসঙ্গত,শুক্রবার রাত থেকেই তৃণমূল-এসইউসিআই দুপক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি। অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত অশ্বিনী মান্না শুক্রবার রাতে দলবল নিয়ে এলাকার কিছু এসইউসিআই সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। লুটপাট, ভাঙচুরের পাশাপাশি বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি পাথর ছোঁড়া হয়। মারধর করা হয় কয়েকজন এসইউসিআই কর্মীদের। এর জেরে ৫ জন এসইউসিআই কর্মী গুরুতর জখম হন। এই ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে পালটা প্রতিবাদ শুরু করেন। স্থানীয়দের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় যুব তৃণমূল কর্মী অশ্বিনী মান্নার। এরপর শনিবার সকালে তৃণমূল কর্মীরা এসইউসিআই জেলা কমিটির সদস্য সুধাংশু জানার বাড়িতে ঢুকে তাকে বাড়ি থেকে বের করে মেরে বাড়ির সামনে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পর পর এই দুই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিন ২৪ পরগণার কুলতলি। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে এলাকাবাসী।