নিজস্ব সংবাদদাতা: ইদানিং পাত্তা দিচ্ছিলনা প্রেমিকা। নানা বাহানায় নাকি এড়িয়ে যাচ্ছিল সদ্য আঠারোয় পা দেওয়া তরুণটিকে আর সেই হতাশা থেকেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু সেই আত্মহত্যা সে করেছে প্রেমিকাকে ভিডিও কল করেই।
অবশ্য সে তার কিশোরী নাবালিকা প্রেমিকাকে ওই দৃশ্য দেখিয়ে কিশোরীর সহমর্মিতা আদায় করে ফের তার প্রতি অনুরক্ত করতে চেয়েছিল কিনা জানা নেই তবে দিনের শেষে মারাই গেছে ওই তরুণ। রবিবার এমনই মর্মান্তিক ঘটনার স্বাক্ষী থাকল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির গিরিপাড়া গ্রাম। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতের নাম সৌভিক পাল। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গিরিপাড়ার একটি গরিব মৎস্যজীবী পরিবারের জহর পালের বড় ছিল সৌভিক। পরে দুটি বোন রয়েছে তার। গ্রামেরই এক প্রতিবেশী নাবালিকার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু ইদানীং সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিল প্রেমিকা। বেশ কয়েকবার বুঝিয়ে তাকে ফের নিজের জীবনে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল সৌভিক কিন্তু প্রেমিকার মন গলাতে পারেনি সে। নাছোড়বান্দা প্রেমিকাকে ফেরাতে না পেরেই এই পথ বেছে নেয় সে।
জানা গেছে রবিবার বাড়ির সবাই যখন নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত তখনই কিশোরীকে ভিডিও কল কর গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে বাড়ির কড়ি থেকে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সৌভিককে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় তার দেহ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন সৌভিক। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সৌভিকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা মাথায় রেখেই অন লাইন পড়াশুনার জন্য কষ্টে শিষ্টে ওই স্মার্টফোনটি কিনে দেওয়া হয়েছিল তাকে। পুলিশ পরীক্ষার ওই ফোনটি খুঁটিয়ে দেখছে।