নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুর অবস্থান কী?এই উত্তরের দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা।যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার জানানো হচ্ছে শুভেন্দু দলেই রয়েছে।মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর তৃণমুলের বিভিন্ন বৈঠক থেকে বাদ পরেছেন শুভেন্দু।বিদ্রোহী নেতার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দলের বিপক্ষে বলে অনেকের মত।সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে রয়েছে তার নাম।জানার পর সিবিআইকে চিঠি দিলেন শুভেন্দুবাবু।সারদাকাণ্ডের তদন্তে অযাচিত হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় এই চিঠি। শুক্রবার সূত্রের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, এই মর্মে ইতিমধ্যে সিবিআইকে সতর্ক করেছেন তিনি।
বুধবার সিবিআইয়ের রিজিওনাল ডিরেক্টর ও কেন্দ্রীয় ডিরেক্টরকে চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন,সারদাকাণ্ডের তদন্তে অযাচিত হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছেন সারদাকাণ্ডে জেলবন্দি অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন বহু বছর পর হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। তাতে তাঁর কাছ থেকে ৫ জন রাজনীতিবিদ প্রচুর টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেই এই চিঠি লেখা হয় যেখানে তাঁর নাম উল্লেখিত আছে, সেই দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, পাঁচ রাজনীতিবিদের নাম সুদীপ্ত সেন তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তাঁদের কারও নামই সারদাকাণ্ডের চার্জশিটে ছিল না। এমনকী গোটা তদন্তপ্রক্রিয়ায় সারদাকর্তা তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি।
তার মতে ২০২১-এর নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলির নেতাদের চাপে রাখতেই সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে তাঁদের নাম লিখিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
গত ১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জেলে বসে এক চিঠি লেখেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। তাতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ৯ কোটি টাকা। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকা। অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকা ও বিমান বসুর বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
শুধু এটাই নয়,সুদীপ্ত সেন আরও লিখেছেন,যারা নৈতিক অবস্থান নিয়েছেন।তারাই আসলে মানুষ ঠকাচ্ছেন।এখন বিজেপিতে যোগ দিয়ে দোষমুক্ত হতে চাইছেন।