নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এতদিন তাঁর বিরুদ্ধেই প্রতিহিংসার অভিযোগ আনতেন বিরোধীরা। হলদিয়া থেকে মুর্শিদাবাদ বিরোধীদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় কিংবা ফাঁসিয়ে দিয়ে বিরোধীদের জব্দ করেছেন, দল ভাঙিয়েছেন এমনই ভুরি ভুরি অভিযোগ এনেছেন সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে খোদ দিলীপ ঘোষও। শুধু তাই নয়, অতি সম্প্রতি ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি অডিওতে খোদ সুব্রত বক্সীকে বলতে শোনা গেছে হলদিয়ার এক তৃনমূল নেতাকে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই শুভেন্দু আধিকারী নাকি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হতে পারে! তাঁর বিরুদ্ধে হতে পারে নানান মামলা।একরকম নিরাপত্তাহীনতায় রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার এক ট্যুইট বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
জানা গেছে বুধবার বিধায়ক পদে ইস্তফার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে এমনই চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ যাতে প্রতিহিংসাবশত মামলা না করে, সেজন্য তাঁর হস্তক্ষেপ চাইলেন তিনি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে , নিজের ট্যুইটে সেই চিঠি আপলোড করে এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল।
এদিন এই চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, “সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি,।যাতে আমার ও আমার অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফৌজদারি মামলা রুজু থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে নিরস্ত করা সম্ভব হয়। চিঠিতে শুভেন্দু আরও লিখেছেন, কর্তব্য এবং জনসেবার কথা মাথায় রেখে আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছি। কিন্তু, মনে হচ্ছে, আমার রাজনৈতিক অবস্থান বদলের ফলে শাসক প্রতিহিংসার পথ বেছে নিতে পারে।”
নিজের ট্যুইটে মমতা অফিসিয়াল, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশকে লিঙ্ক যুক্ত করে রাজ্যপাল বলেছেন, প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমার হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে জানিয়েছেন যে, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও প্রশাসন তাঁর ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ফৌজদারি মামলা রুজু করতে পারে। ধনকড় জানিয়েছেন,তিনি এই বিষয়ে যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অভিযোগ কিংবা শুভেন্দুর আশঙ্কা সত্য অথবা সত্য যাইহোকনা কেন মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ইতিহাস যেভাবে পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে তা সত্যি চমকপ্রদ। চমকপ্রদ শুধু প্রতিহিংসার মামলাতেই নয়, চমকপ্রদ আরো যে এতদিন বিরোধী দলগুলো আশঙ্কায় থাকত কোথায় কখন তাঁদের নেতা বিধায়ক তৃনমূল ভাঙিয়ে নিয়ে যায় এখন তৃনমূল সেই আশঙ্কায় রাত কাটাচ্ছে।