এখানেই শুভেন্দুকে খুঁজে বেড়াল দুই মেদিনীপুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কিংবা বার কোড লাগানো আমন্ত্রন পত্র কোনও কিছুই চমক লাগাতে পারেনি পূর্ব আর পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃনমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে যতটা চমক লাগালো নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি। রবিবার অমিত শাহের সভার পরই সোমবার দলনেত্রীর সংগঠনিক সভায় চাঙ্গা হওয়ার বদলে তাই অনেকটাই ছেঁকা লাগল কর্মীদের গায়ে। প্রথমে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা, এই হয়ত এসে পড়বেন মন্ত্রী তথা দুই জেলারই দলের বর্তমান কান্ডারী। তারপর অধৈর্য , ক্রমে হতাশা আর সর্বশেষ গুঞ্জন আর ফিসফিসানি, তবে কি…..?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সামনেই রাজ্যের পৌরসভা নির্বাচন আর তারপরেই বিধানসভা। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হাতে ১৮টি আসন চলে যাওয়ায় একটা সংকট, একটু সংশয় কর্মীদের মধ্যে। সেই সংকট আর সংশয় মুহূর্তে অক্সিজেন জুগিয়েছে সাম্প্রতিক উপ নির্বাচনে খড়গপুর বিধানসভা বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং সেই জয়ের কান্ডারী নিশ্চিত ভাবেই শুভেন্দু অধিকারী। সেই শুভেন্দুকেই পৌরসভা আর বিধানসভাকে সামনে রেখে বৃহত্তর সাংগঠনিক সভায় দেখা যাবেনা! এটা কি এমনি এমনি সম্ভব? প্রশ্নটা ঘুরছে কর্মীদের মধ্যে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোমবার ইন্ডোরের সভার পরেই তাই পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুব নেতাকে সরাসরি ফেসবুকে পোষ্ট করতেই দেখা গেছে এই বলে যে, ”লোকসভা আসনে ১৮টি আসনে হেরে যাওয়ার পরে যে নেতাকে সব চেয়ে বেশি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং যিনি হেরে যাওয়া এলাকায় সাংগঠনিক শক্তি পুনঃউদ্ধার করলেন…তাকে আজ অনেক খুঁজলাম। না দেখতে পেয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।” দলের একাংশ ধরে নিচ্ছেন আবার বোধহয় শুভেন্দুকে পেছনে ঠেলার প্রক্রিয়া শুরু হল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তাই ওই পোষ্টের জবাবে কেউ বলছেন, ‘বিপর্যয়ে আবার দরকার হবে। উপেক্ষা অবহেলা করতে চাইলে বড় ভুল হবে। তখন শুধরানোর উপায় নাও থাকতে পারে।’ আবার কেউ লিখছেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে দাদা কে যে যত পেছনে ফেলার চেষ্টা করবে মনে রাখবেন সে ততটাই পেছনে চলে যাবে। আর দাদা তত বেশি করে জনতার হৃদয়ে জায়গা করে নেবে।’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
শুভেন্দুর সমর্থনে ফেসবুকে কর্মীরা |
লোকসভা নির্বাচনের পর পিকের পরামর্শে পেছনে চলে গেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জী। তাঁকে আবার সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে। দলে সাধারন ভাবে এই দুজন একই গুরুত্ব পেয়ে থাকেননা। সেই ফর্মুলাতেই কি পেছনে শুভেন্দু? প্রশ্নটা তোলপাড় করছে কর্মীদের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও শুভেন্দু আধিকারীর ঘনিষ্ট মহল থেকে বলা হচ্ছে, সেসব কিছুই নয়। রবিবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে সভা করে প্রায় ভোর রাতে কাঁথি ফিরেছেন তিনি ফের পরের দিন যাবেন মালদা। ফলে ধকল সামলাতে সোমবার একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন। কিন্তু অমিত পরিশ্রমী শুভেন্দুকে যাঁরা চেনেন, যাঁরা জানেন মমতা ব্যানার্জী চাইলে শুভেন্দু কোথায় না উপস্থিত থাকতে পারেন তাঁদের মানতে কষ্ট হচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে সম্প্রতি একটি ঘটনা আবার শংকা তৈরি করেছে তা’হল হলদিয়ায় মা ও মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ধৃত তৃনমূল কর্মী সেখ সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে শুভেন্দু আধিকারীর একগুচ্ছ ছবি প্রকাশ হওয়া। শুভেন্দু নিজে এই ছবি তাঁর অজান্তে অনেকেই তুলতে পারে, তিনি যেহেতু পুলিশের ঘেরা টোপে থাকেননা তাই কে কখন ছবি তুলল তা জানা মুশকিল বলেছেন। কিন্তু পি.কে এই যুক্তি মানছে কিনা সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন !