Homeএখন খবরশেষ তারিখ পেরিয়ে গেলেও মিড-ডে-মিল জুটলনা দাসপুরের বহু পড়ুয়ার! দায় কার খতিয়ে...

শেষ তারিখ পেরিয়ে গেলেও মিড-ডে-মিল জুটলনা দাসপুরের বহু পড়ুয়ার! দায় কার খতিয়ে দেখছে প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা আর লকডাউনের মধ্যেও রাজ্য জুড়ে স্কুল পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিলের বরাদ্দে কার্পণ্য করেনি সরকার বরং সরকারের কঠিন নির্দেশ সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও বরাদ্দ রাখতে হবে মিড-ডে-মিলের বরাদ্দ। যেহেতু স্কুল কলেজ বন্ধ তাই রান্না করা খাবার দেওয়া সম্ভব নয় তাই রান্নার সামগ্রী যেমন চাল আলু ইত্যাদি স্কুল থেকে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। ঠিক হয় কচিকাঁচাদের পরিবর্তে অভিভাবকরা স্কুল থেকে সংগ্ৰহ করে নেবেন সেই সামগ্রী। শুধু মিড-ডে-মিল নয় করোনা কালে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্যানিটাইজার, সাবান, মাস্ক ইত্যাদি। যদিও চলতি পর্বে মাস্ক দেওয়া হচ্ছেনা। যদিও সেই মিড-ডে-মিল এই পর্বে জুটলনা দাসপুরের বহু পড়ুয়ার।

উল্লেখ্য রাজ্য সরকারের ইচ্ছামতই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক রশ্মি কোমল বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে বলেন ২৭মে তারিখ থেকে ৩১শে মের মধ্যেই এই মিড-ডে-মিলের সরঞ্জাম বিতরণ করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ এই মিড-ডে-মিল। জেলা শাসক ১৭ই মে অর্থাৎ ১০দিন আগেই স্কুলগুলিকে জানিয়ে দেন এই নির্দেশিকার কথা। প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও নির্দেশিকা পৌঁছে যায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলিকেও। এই সময় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই পর্ষদ থেকে এও নির্দেশ দেওয়া হয় যে মিড-ডে-মিল দেওয়ার প্রয়োজনে কয়েকজন শিক্ষককে স্কুলে ডেকে এনে সেই কাজ করতে হবে। কিন্তু তা স্বত্ত্বেও কেন দাসপুরের একাংশ পড়ুয়া মিড-ডে-মিল পেলনা তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

৩১শে মে অর্থাৎ মিড-ডে-মিলের সরঞ্জাম দেওয়ার শেষ দিনেও তা জুটলনা দাসপুরের রাজনগর, খুকুড়দহ, পলাশপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু পড়ুয়ার। যেমন
খুকড়দহ গ্রামপঞ্চায়েতে ১৩টা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কিংবা পলাশপাই গ্রামপঞ্চায়েতে ১০টা প্রাথমিকবিদ্যালয় ও ১টা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ছাড়াও শিশুশিক্ষাকেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। জানা যাচ্ছে এখানকার পড়ুয়ারা মিড-ডে-মিলের সরঞ্জাম পাননি। কিন্তু কেন তারা মিড-ডে-মিল পেলনা? ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধানদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী মিড-ডে-মিলের সরঞ্জাম অর্থাৎ চাল, আলু মজুত থাকে গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনে। ওই সরঞ্জাম গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কথা কিন্তু গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানরা বলছেন স্কুলকেই নিজের দায়িত্বে ওই সরঞ্জাম নিয়ে যেতে হবে।

এদিকে স্কুলের বক্তব্য গত প্রায় দেড়বছর ধরে স্কুল বন্ধ ফলে সরকারের তরফ থেকে স্কুলগুলিকে কোনও অর্থ প্রদান করা হয়নি।তাদের কাছে তহবিল নেই ফলে গাড়ি ভাড়া করে চাল, আলু পঞ্চায়েতের গো-ডাউন থেকে আনা সম্ভব নয়। ফলে তারা চাল আলু আনেনি। আর স্বাভাবিক ভাবেই তাই সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়নি। যদিও স্কুলকেই এই সরঞ্জাম নিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে স্কুলগুলো যে দাবি করছে তা স্বীকার করতে চাননি প্রধানরা। একেক জন একেক রকম কথা বলছেন।

যেমন খুকুড়দহ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান তপতী মন্ডল জানিয়েছেন, ‘গত কয়েকদিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে রাস্তা এতটাই খারাপ হয়েছে যে গো-ডাউন অবধি গাড়ি ঢুকছেনা। আমরা বিডিও সাহেবকে বলে অন্য সময় নেওয়ার কথা বলব। অন্যদিকে দাসপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের বিডিও অনির্বান সাহু জানিয়েছেন যে এমন কথা তাঁকে কেউ জানায়নি যে রাস্তা খারাপ বলে স্কুলে সরঞ্জাম পৌঁছানো যাচ্ছেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

RELATED ARTICLES

Most Popular