নিউজ ডেস্ক: আমাদের প্রায় প্রত্যেকের রান্নাঘরেই অন্যতম সুপরিচিত একটি খাদ্য উপাদান হল ডাল। চাল-ডাল মিলিয়ে খিচুড়ি সকলেরই প্রিয়। এছাড়াও ডাল দিয়ে তৈরি বড়া, মসুর ডাল দিয়ে ভাত, ডাল পুরি, আম দিয়ে ডাল, মুগ ডালের চিলা, মুগের পুলি- কত কিছুই না তৈরি হয় ডাল দিয়ে। শুধু কি এটুকুই! না ডাল দিয়ে শুধু সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় এমন নয়, ডালের রয়েছে অনেক অনেক পুষ্টিগুণ। জেনে নিন পরিচিত ডালের অপরিচিত কিছু গুণাবলি।
মসুর ডাল
সম্ভবত ভারতীয় রান্নাঘরের অন্যতম সাধারণ ডাল এটিই। মসুর ডাল প্রোটিন, প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, আয়রন, ফাইবার এবং ভিটামিন বি ১- এর একটি ভাল উত্স। মসুর ডাল ফাইবার এবং প্রোটিনের ভাণ্ডারে ভরা। এক কাপ মসুরের ডালের মধ্যে ২৩০ ক্যালোরি থাকে, প্রায় ১৫ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং প্রায় ১৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
মসুর ডাল খাওয়ার ফলে পেট এবং হজমের সমস্ত রোগ দূর করতে সহায়তা করতে পারে। মসুর ডাল পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করতে পারে। এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
মুগ ডাল
মুগ ডাল খুব হালকা এবং এটি হজম করা খুব সহজ। এটি ওজন হ্রাস ডায়েট অন্তর্ভুক্ত। এটিও রান্নাঘরে ব্যবহৃত অন্যতম সাধারণ ডাল। এটি প্রোটিন, প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইবার এবং ভিটামিন বি ১ এর একটি ভাল উত্স।
মুগ ডাল ত্বকের জন্য এবং ওজন কমাতে খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়। মুগ ডাল ওজন কমাতে উপকারী বলে মনে করা হয়। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মুগ ডালের ব্যবহার উপকারী বলে মনে করা হয়। মুগ ডালের ব্যবহার শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে।
অড়হর ডাল
অড়হর ডালের অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা রয়েছে। অড়হর ডালে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি এবং পটাসিয়াম থাকে। এই ডাল খাওয়া আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে শুধু সহায়তা করে না, তবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে।
অড়হর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। নিয়মিত ফাইবার গ্রহণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়, স্ট্রোক এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এতে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই ডালগুলি কার্বোহাইড্রেটের একটি ভাল উত্স। এটির সাহায্যে শরীর শক্তি পেতে পারে।
তবে একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না, তা হল এই যে, ডাল থেকে কারও কারও পেটে গ্যাস হয়ে যায়। সেটি কাটানোর জন্যই পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা বা হিংয়ের মতো মশলার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেদ্ধ ডাল খেলেও তা খান পেঁয়াজসহ, তাতে পেট ফাঁপবে না। এছাড়াও ডাল খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একরাত ভিজিয়ে রেখে তবেই রান্না করুন। ডাল ভেজানো জলটা ফেলে না দিয়ে তাতেই রান্না করুন, কারণ এই জলও প্রচুর পুষ্টিতে ঠাসা।