নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: নির্বাচনের আগে শিলিগুড়ি জুড়ে চলছে নানান অসামাজিক কাজ। ফের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল শিলিগুড়িতে। দিনেদুপুরে এক মহিলা টোটো যাত্রীকে বেহুঁশ করে সোনার গয়না লুটের অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ি শহরে। বুধবার ঘটনাকে ঘিরে শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ছবি মণ্ডল নামে ওই মহিলা কাজে বেরিয়েছিলেন। তার বাড়ি ফুলেশ্বরী সংলগ্ন পাইপলাইন এলাকায়। তিনি বাড়ি ফেরার জন্য ফুলেশ্বরী থেকে একটি টোটোতে ওঠেন। ছবি দেবী জানান, টোটোতে আরও দুজন যুবক ছিলেন। ওঁনাকে তাঁরা মা বলে সম্বোধন করেন। তারপর আর কিছু তাঁর মনে নেই। এক দেড়ঘণ্টা পর জ্ঞান এলে তিনি দেখেন, এনজেপি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের বাইরে পড়ে আছেন। ছবি দেবী এরপর তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তাঁর অভিযোগ, সোনার বালা, চেন, আংটি সহ অন্য সমস্ত সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছেন ওই দুই যুবক। কোনও কিছু স্প্রে করে তাঁকে অচেতন করে সবকিছু লুট করা হয়েছে। এদিকে, পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁরা প্রথমে এনজেপি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু অভিযোগ নেওয়া হয়নি। উল্টে জিআরপিতে অভিযোগ জানাতে বলা হয়। কিন্তু জিআরপিও অভিযোগ নেয়নি। ঘটনার জেরে যথেষ্ট আতঙ্কিত ছবি দেবী।
দিন প্রতিদিন শিলিগুড়ি শহরে বাড়ছে অপরাধের ঘটনা। কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি শহরে মোবাইল ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি চক্রকে ওড়িশা থেকে গ্রেপ্তার করে আনে পুলিশ। সঙ্গে উদ্ধার করা হয় কয়েকটি মোবাইল ফোনও। সূত্র মারফৎ জানা গেছে এই অপারেশনটি রূপ দিয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি পুলিশের একটি দল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি রাত্রে জয় প্রকাশ গুপ্তা নামক এক মোবাইল ব্যাবসায়ী দোকান বন্ধ করে ১৪ টি নতুন মোবাইল সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। ভক্তিনগর এলাকায় কয়েকজন যুবক তার পথ আটকে অস্ত্র দেখিয়ে তার কাছে থাকা মোবাইল গুলি ছিনতাই করে নেয়। ঘটনার পরপরই এন জে পি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল ওই ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে, একইদিনে আরও একটি বড়সড় বন্যপ্রাণীর প্রত্যঙ্গ পাচারকারিদের একটি দল গ্রেপ্তার হয় বাগডোগরা থেকে। এই কৃতিত্বের দাবীদার অবশ্য সীমা সুরক্ষা বল বা এসএসবির জওয়ানরা। এই দলটির সক্রিয়তায় বাগডোগরার দালগা ফরেস্টের জংলীবাবা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে হরিণের সিং সহ তিন যুবককে প্রথমে আটক করে এসএসবির ৮নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা। ধৃতরা সকলেই মাটিগাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের আটক করে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শারীরিক পরীক্ষা করার পর বনবিভাগের কাছে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।